ইংরেজি “Chemistry” শব্দটির উৎপত্তির ইতিহাস নিয়ে বিভিন্ন প্রবীণ বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ ছিল। রসায়নের ইতিহাস একটি বিস্তৃত বিষয়। বলা চলে আগুন আবিষ্কারের পর থেকেই মানব সভ্যতার হাত ধরে এগিয়ে চলেছে রসায়ন। মধ্যযুগে ধাতুকে সোনায় পরিনত করতে পারার পদ্ধতি আবিষ্কারের প্রচেষ্টায় শুরু হয় আলকেমি বিদ্যা। এই আলকেমি বিদ্যা হাজার বছর ধরে চর্চা করা হয়েছিল পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। আলকেমি এক রহস্যময় অধ্যায়। আলকেমির অর্থ হলো অপরসায়ন। আলকেমি শব্দটি আরবি ‘আল-কিমিয়া’ থেকে এসেছে। আলকেমি নিয়ে যারা গবেষণা করতেন তাদের বলা হয় আল কেমিস্ট। এদের গবেষণার মূলত দুটি ধারা আছে, এক পরমায়ু লাভ করা। দ্বিতীয়ত সস্তা ধাতুকে সোনায় রূপান্তরিত করা। এই ‘আল-কিমিয়া’ শব্দটি মূলত গ্রীকদের χημία অথবা χημεία থেকে ধার করা হয়েছে যারা অর্থ ছিল “একসাথে মিশানো”; এখানেই শেষ নয়, χημία শব্দটি এসেছে Chemi বা Kimi শব্দ থেকে। Chemi বা Kimi ছিল মিশর এবং তার অধিবাসীদের আদিমতম নাম। বিজ্ঞানের ইতিহাসে আলকেমি (আরবি: الكيمياء, আল-কিমিয়া) দ্বারা একটি প্রাচীনকালে প্রকৃতির এক ধরনের অনুসন্ধান এবং জ্ঞানের দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক একটি শাখাকে বোঝায় যাতে জ্ঞানের সকল শাখার সকল উপাদানের একত্রীকরণের মাধ্যমে একটিমাত্র উচ্চতর মহান শক্তির অস্তিত্বের ধারণা করা হতো। অর্থাৎ রসায়ন, ধাতুবিদ্যা, পদার্থবিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান, জ্যোতিষ শাস্ত্র, সেমিওটিক্স, মরমিবাদ, আধ্যাত্মবাদ এবং শিল্পকলা এই সকল শাখার সকল উপাদান যে একক উচ্চতর শক্তির অংশ হিসেবে বিদ্যমান রয়েছে তার বিজ্ঞানই হল আলকেমি।