আসলে কিন্তু চামড়াটা কুঁচকে যায় না। বরং ঘটে অন্য একটি ঘটনা! এবং আমাদের মনে হয় যে চামড়া কুঁচকে গিয়েছে। আমাদের দেহের চামড়া বেশ কয়টি স্তর দিয়ে তৈরি। আমাদের চামড়ার সর্বশেষ স্তরটির নাম এপিডারমিস। এই এপিডারমিস থেকে একধরনের তৈলাক্ত পদার্থ নির্গত হয় যার নাম সেবাম। এই সেবাম আমাদের চামড়ার জন্য একটি প্রতিরক্ষা পর্দার মতো তৈরি করে। আমরা যখন কাঁচ কিংবা অন্যান্য মসৃণ কোনো তল স্পর্শ করি তখন আমাদের হাতের ছাপ বসে যায় সেখানে, আমাদের হাত পরিস্কার থাকলেও এটি হয়ে থাকে। এই তৈলাক্ত ছাপই সেবাম। সেবামের কারণেই এই কাজটি হয়ে থাকে। যখন আমরা কিছু সময় পানি ধরি বা পানির সংস্পর্শে থাকি তখন এই সেবামের কারণে পানি আমাদের চামড়ার ভেতরের স্তরে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু বেশি সময় ধরে পানি ধরলে আমাদের হাতের এই সেবাম চলে যায় এবং চামড়ার ভিতরে পানি প্রবেশ করে। অর্থাৎ আমাদের চামড়া পানি শোষণ করে এবং এপিডারমিসের ভেতরের স্তর ডারমিসে প্রবেশ করে। তখন যে যে স্থানগুলোতে ডারমিস ও এপিডারমিসের মধ্যকার বন্ধন থাকে না সেসব স্থান পানি শোষণ করে ফুলে যায় এবং যে যে স্থানগুলোতে ডারমিস ও এপিডারমিসের মধ্যকার বন্ধন থাকে সেসব স্থান আগের মতোই থাকে। তাই আমাদের কাছে চামড়া কুঁচকে গিয়েছে বলে মনে হয়।