:- ফেসবুকে প্রেমে পড়া মেয়ে writer :- নীল চৌধুরী মিষ্টি : কেমন আছো? আকাশ : ভালো না মিষ্টি : কেন? আকাশ : বাড়িতে বউ নায় তাই। (শয়তানি করে বললাম) মিষ্টি : দেখ ফাইজলামো করবে না একদম আকাশ : আচ্ছা করব না। একটা কথা বলব রাগ করবে না তো?? মিষ্টি : বল রাগ করব না আকাশ : তোমার একটা ছবি দিবা, দেখবো তোমায় মিষ্টি : না এইটা সম্ভব না আকাশ : প্লিজ দাও না, শুধু একবার দেখবো তোমাকে প্লিজ মিষ্টি : না আমি পারব না আমি কত বার বলছি যে তোমাকে আমি ছবি দিতে পারব না। আমি দেখতে সুন্দর নই, তোমার আমাকে কখনোই পছন্দ হবে না। আর কখনো যদি আমাকে মেসেজ দাও তাহলে আমি আর কখনোই তোমার সাথে কথা বলবো না। সাথে সাথেই মিষ্টি অফলাইন হয়ে যায়। দুজনেরই ফেইসবুকে পরিচয় কিন্তু কেউ কখনো কারো মুখ দেখেনি। তবুও দুজন দুজনকে ভালোবাসে। আকাশ হল একজন বড় লোকের ছেলে খুব সুন্দর আর অনেক ভালো। কোনো খারাপ অভ্যাস ছিল না, তবে একটু ফাইজলামো করতো তাও মিষ্টির সাথে। আর মিষ্টিও অনেক ভালো মেয়ে তবে সে ছিল গরিব ঘরের মেয়ে মিষ্টি অনেক গোছালো টাইপের মেয়ে সে তেমন বেশি সুন্দর নয়, আবার কালোও নয় শ্যমলা রঙের একটা মেয়ে, তবে চেহেরাটা অনেক মায়াবী। যে কেউ দেখলেই পছন্দ করবে। আকাশ : অনেক মেসেজ দিছি, কিন্তু কোনো উত্তর পেলাম না। অনেকদিন ধরে অফলাইন। তাকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারি না। ভালোভাবে খাইতে পারি না। শুধু তাকেই মনে পড়ে। মিষ্টি : ৫ দিন পর ফেসবুকে গিয়ে আমি অবাক অনেক মেসেজ প্রতিটা মেসেজের পড়েই দুঃখিত(sorry) লিখা আছে। আর দেখতেছি তখনো অ্যাক্টিভ আছে। তাই মেসেজ দিলাম, কেমন আছো? আকাশ : (নিশ্চুপ) মিষ্টি : অভিমান করেছো, একবার দেখা করতে পারবে। নাহলে আর দেখা করতে পারবে না। আকাশ : এইবার তাকে হারানোর ভয়ে মেসেজ দিলাম। হ্যা, অবশ্যই মোবাইল নাম্বারটাও দিলাম। মিষ্টির দেখা করার উদ্দেশ্য ছিল সে সব সম্পর্ক শেষ করে দিবে। কারণ সে তেমন সুন্দর নয় আর গরিবও। তাই সে মনে করত তাকে দেখলে আকাশ কখনো তাকে পছন্দ করবে না আর তাই সবকিছু সমাধান করতে আগামীকাল দেখা করবে। (দেখা করার দিন) আকাশ : সময়ের অনেক আগে থেকে এসে বসে আছি প্রিয় মানুষটার সাথে দেখা করার জন্য। হঠাৎ দেখি একটা মেয়ে কিছু দূরে দাড়িয়ে মোবাইল বের করছে। দেখতে সুন্দর না তবে মুখটা অনেক মায়াবী যে কেউ দেখলেই প্রেমে পড়ে যাবে। মোবাইল বের করে মনে হয় কাউকে কল দিচ্ছে। মিষ্টি : এমন ভাবে ছেলেটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে কেন। দূর ভালো লাগে না, আচ্ছা তাকে কল দিই। আকাশ : চমকে উঠলাম, কারণ কলটা আমার কাছেই এসেছিল। সেইও মনে হয় চমকে উঠেছে। দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আাছি ও আমার কাছে আসল। মিষ্টি : আচ্ছা তুমিই কি সেই ছেলে মানে আকাশ। আকাশ : হুম তুমিই মিষ্টি কিন্তু এরকম কেন? মিষ্টি : আমি ত বলেছিলাম আমি দেখতে খারাপ আমাকে পছন্দ হবে না তোমার। আকাশ : চুপ একটা কথাও বলবে না, চলে যাও এখন। (ফাইজলামো করে) (আমি আমার বাইক আনতে গেলাম) মিষ্টি : যাচ্ছি চলে। আর কাঁদছি কারণ কাছের ভালবাসার মানুষটাই আজ তাকে অপমান করলো। সুন্দর হয়নি এইটাই কি দোষ এগুলো ভেবে কাঁদছে আর হাটতেছে। ওইদিকে আকাশ তার বাইক নিতে গিয়ে দেখে মিষ্টি সত্যি-সত্যি চলে যাচ্ছে। তাই দিল দৌড় মিষ্টির দিকে আর ডাকতেছে কিন্তু মিষ্টি শুনতেছে না সে কাঁদতে-কাদঁতে চলে যাচ্ছে। আকাশ : এইযে মিষ্টি কখন থেকে ডাকতেছি শুনতেছ না কেন? আর কাদঁতেছ কেন? মিষ্টি : এমনি(কাঁদো-কাঁদো সুরে) তাতে আপনার কি? (এক্কেবারে আপনিতে চলে গেছে) আকাশ : এমনি কেউ কাঁদে মিষ্টি : আমি কাঁদি আকাশ : আমি একটু মজাও করতে পারব না তোমার সাথে মিষ্টি : পথ ছাড়ুন আমি বাড়ি যাব আকাশ : তাহলে দেখা করলে কেন? মিষ্টি : আপনি দেখতে চেয়ছিলেন তাই। আর আমি জানি আপনার আমাকে পছন্দ হয়নি তাইতো চলে আসতে বলছিলেন। আকাশ : তাহলে আমি কি নিয়ে বাঁচবো। আর তুমি ত দেখি আমাকে ভালই বাস না। মিষ্টি : মানে আকাশ : মানে আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। তোমাকে ছাড়া আমি বেঁচে থাকব কিভাবে। আর তুমি যদি আমাকে ভালই বাসতে তাহলে আমাকে ছেড়ে চলে যেতে না। মিষ্টি : আমিও তোমাকে ভালবাসি কিন্তু বলতে পারি নি কারণ আমি তোমার থেকে দেখতে খারাপ। তুমি যদি কিছু বলাে তাই বলতে পারি নি। আকাশ : তাই বলে চলে যেতে হবে। আমিত তোমার মুখ দেখে ভালোবাসি নি তোমার মনকে ভালবেসেছি। কি থাকবে তো আমার সাথে সারা জীবন যতদিন পর্যন্ত বেচে থাকব ?(হাত দুটো বাড়িয়ে দিয়ে) মিষ্টি : খুব পারব ! কখনো ছেড়ে চলে যাবে না ত।(জড়িয়ে ধরে) আকাশ : কখনো যাব না !! এতো দূর কষ্ট করে যখন আসছেন তাহলে অবশ্যই বলে যাবেন কেমন হয়েছে।