বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ আমেরিকা হলেও তাদের পাসপোর্ট কিন্তু সর্বাধিক ক্ষমতাশালী নয়। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এ বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর পাসপোর্টটি রয়েছে জার্মানির মানুষের কাছে। প্রথম চারের মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ ও আমেরিকান পাসপোর্ট।
ব্রিটিশ সিটিজেনশিপ ও প্ল্যানিং ফার্ম হেনলে অ্যান্ড পার্টনারস এ গবেষণা করেছে। তারা দেখেছে, কোন পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়াই কতগুলো দেশ ভ্রমণ করা যায়। জার্মান পাসপোর্টধারীরা পৃথিবীর ১৭৭টি দেশে কোনো ভিসা ছাড়াই যেতে পারেন। ব্রিটিশ পাসপোর্ট দিয়ে ভ্রমণ করা যাবে ১৭৫টি দেশে। আর মার্কিনিরা ভিসা ছাড়া ১৭৪টি দেশে চলে যেতে পারেন।
গত বছর ক্ষমতাশালী পাসপোর্টের শীর্ষে ছিল ব্রিটেন। নিচেই ছিল জার্মানি। দেশটির সঙ্গে অন্য কয়েকটি দেশের ভিসা-ব্যবস্থা আরো শিঁথিল করা হলে শীর্ষে চলে আসে জার্মানি। এ বছরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে সুইডেন। তৃতীয় অবস্থানে ব্রিটেনের সঙ্গে রয়েছে ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন। চতুর্থ অবস্থানে আমেরিকার সঙ্গে আছে বেলজিয়াম, ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ডস।
সবচেয়ে কম ক্ষমতাশালী পাসপোর্টগুলোর মধ্যে সবার আগে আফগানিস্তান। এই পাসপোর্টের মাধ্যমে ২৫টি দেশে ভিসা ছাড়াই চলে যাওয়া যায়।
হেনলে অ্যান্ড পার্টনারস থেকে বলা হয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়ে উঠেছে। ১৯৯টি দেশের মধ্যে ২১টি দেশের পাসপোর্ট একই র্যাংকিংয়েই রয়েছে।
এ ছাড়া কয়েকটি দেশের পাসপোর্ট আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। যেমন টোঙ্গার পাসপোর্ট দিয়ে ১৬টি দেশ; পালাও, কলোম্বিয়া এবং তিমোরে পাসপোর্ট দিয়ে যথাক্রমে ২০টি, ২৫টি এবং ৩৩টি দেশে যাওয়া যায়।
ইইউ-এর সদস্য দেশ মাল্টা ‘সিটিজেনশিপ-বাই-ইনভেস্টমেন্ট’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বেশ এগিয়ে গেছে। আর ‘রেসিডেন্স-বাই-ইনভেস্টমেন্ট’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে পাসপোর্টটি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হয়েছে।
এখানে দেখে নিন দেশ ও সে দেশের পাসপোর্ট দিয়ে কয়টি দেশে ভ্রমণ করা যায় তা উল্লেখ করা হলো :
১. জার্মানি, ১৭৭টি দেশ।
২. সুইডেন, ১৭৬টি দেশ।
৩. ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন ও ইউকে, ১৭৫টি দেশ।
৪. বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও আমেরিকা, ১৭৪।
৫. অস্ট্রিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুর, ১৭৩টি দেশ।
৬. কানাডা, আয়ারল্যান্ড, দ. কোরিয়া, লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে, পর্তুগাল এবং সুইজারল্যান্ড, ১৭২টি দেশ।
৭. গ্রিস ও নিউ জিল্যান্ড, ১৭১টি দেশ।
৮. অস্ট্রেলিয়া, ১৬৯টি দেশ।
৯. মাল্টা, ১৬৮টি দেশ।
১০. হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক ও আইনল্যান্ড, ১৬৭টি দেশ।
সবচেয়ে কম ক্ষমতাশালী পাসপোর্টের তালিকা দেখে নিন।
১. আফগানিস্তান, ২৫টি দেশ। ২. পাকিস্তান, ২৯টি দেশ। ৩. ইরাক, ৩০টি দেশ। ৪. সোমালিয়া, ৩১টি দেশ। ৫. সিরিয়া, ৩২টি দেশ। ৬. লিবিয়া, ৩৬টি দেশ। ৭. ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, ইরান, নেপাল, প্যালেস্টাইন ও সুদান, ৩৭টি দেশ। ৮. কসোভো, দক্ষিণ সুদান ও ইয়েমেন, ৩৮টি দেশ। ৯. বাংলাদেশ, কঙ্গো, লেবানন ও শ্রীলঙ্কা, ৩৯টি দেশ। ১০. বুরুন্ডি, উ. কোরিয়া ও মিয়ানমার, ৪২টি দেশ। সূত্র : টেলিগ্রাফ