ফিলিস্তিন জিহাদ ও বাংলাদেশের জিহাদি আন্দোলন
.
জি*হা*দের প্রসঙ্গ আসলে অনেকেই আমাদের উপর হামলে পড়েন। আমাদেরকে জঙ্গি ট্যাগ দেন। তারা বলেন, জি*হা*দ জি*হা*দ!!! আমাদের কি আছে? আমরা কি দিয়ে জি*হা*দ করব?
আমরা বলি, আপনি শান্ত হোন, আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি,
.
মনে করুন, আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে অক্ষম মানুষ। অন্যের পরিত্যাক্ত গোয়াল ঘরে বউ বাচ্চা নিয়ে রিফিউজি হয়ে বাস করেন। ঘুম থেকে উঠে সকালের খাবার জুটবে কি না জানেন না। বিপদে পড়লে আপনার ডাকে সাড়া দেয়ার মতো একটা কাক-পক্ষীও খুঁজে পাবেন না। এই হল আপনার অক্ষমতার চিত্র।
অপরদিকে (আল্লাহ না করুন) জাতিসংঘ, আমেরিকা, ন্যাটো কিংবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কোনো সুপার পাওয়ার আপনার উপর আক্রমণ চালিয়েছে। আপনার এক সন্তানকে ধর্ষণ করেছে। আরেক সন্তানকে তুলে নিয়ে গেছে। আপনার বাবাকে হত্যা করেছে। আপনার মাকে আহত করেছে। স্ত্রীকেও তুলে নিয়েছে।
.
আপনি আমাকে বলুন, আজ যেহেতু বউ বাচ্চার খাবার জোগাড়ের পেরেশানি নেই, আবার এত বড় শত্রুর মোকাবেলায় আপনার কিছু করার শক্তি সামর্থ্যও নেই, তো আপনি যদি এতদিন ৬ঘণ্টা ঘুমান, আজ কি দায়িত্ব নেই বলে ৮ঘণ্টা ঘুমাবেন? না আপনার ঘুম কমবে? নিশ্চয় সামর্থ্য না থাকলেও স্ত্রী সন্তানকে উদ্ধারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরবেন, দৌড়ঝাপ করবেন।
নিশ্চয়ই আপনি ইতোমধ্যে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন !
.
হ্যাঁ, আমরা এটাই বলছি। ইসলাম আপনার বোন আর আমার বোনের মাঝে পার্থক্য করে না। আজ সারা বিশ্বে আপনার আমার কত অজস্র মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত প্রতি মুহূর্তে। আপনার কিছু করার সামর্থ্য নেই বুঝলাম, কিন্তু আপনার ঘুমের ঘোরেও কি একটু ব্যাঘাত ঘটাতে পারছে তাদের আর্তচিৎকার?
.
আমরা বলি না, অপরিণামদর্শীর মতো খালি হাতে অস্ত্রধারী শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। আমরা বলি একটু চিন্তা করুন, নিজের মধ্যে মনুষ্যত্ব ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করুন। তাদের জন্য কিছু করার সামর্থ্য আছে কি না, খুঁজে দেখুন। যতটুকু আছে ততটুকু ব্যবহার করুন। বাকিটা অর্জনের চেষ্টা করুন।
.
তাদের উদ্ধার করতে পেরেছি কি না, এই প্রশ্নের উত্তর আপনাকে দিতে হবে না। তবে আপনার সামর্থ্যে যা ছিল, সে অনুযায়ী চেষ্টা করেছেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তর কাল কেয়ামতের ময়দানে অবশ্যই দিতে হবে।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বরতা শুরু হবার পর, এই ফতোয়া উলামায়ে কেরাম সকলেই দিচ্ছেন যে, এখন সমগ্র বিশ্বের সকল মুসলিমের উপর সাধ্য অনুযায়ী জি*হা*দে শরীক হওয়া ফরজ, যে ফতোয়া মুজাহিদ উলামায়ে কেরাম বহু আগে থেকে দিয়ে আসছেন।
.
বস্তুত ফিলিস্তিন জি*হা*দে শরীক হওয়া যে ফতোয়ায় ফরজ, একই ফতোয়ায় বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সকল জি*হা*দি আন্দোলনে শরীক হওয়াও সাধ্য অনুযায়ী সকলের উপর ফরজ। চাই সেখানে কিতাল চলমান থাকুক বা না থাকুক। সবগুলো জি*হা*দেরই কারণ ও লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। সর্বত্রই ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ শত্রু দ্বারা আক্রান্ত। সবারই লক্ষ্য আক্রান্ত মুসলিম ও মুসলিমদের ভূমিগুলো পুনরুদ্ধার করা।
.
কিন্তু সকল আলেমের ঐক্যবদ্ধ ফতোয়ার পরও অনেককে অহেতুক নানা সংশয় ও প্রশ্নে ঘুরপাক খেতে দেখছি। যেমন:
* আমাদের কিছুই করার নেই, কারণ আমাদের কোনো সামর্থ্য নেই।
* আমরা কি করব? আমরা তো আর সেখানে যেতে পারব না।
* ইসরাইলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করার সামর্থ্য তো আমাদের নেই।
* আমাদের সরকারই তো আমাদের কিছু করার অনুমতি দিবে না।
* সরকারের অনুমতি ছাড়া কিছু করা ঠিক হবে না।
* সরকারের বাধা উপেক্ষা করে তো আমরা কিছু করতে পারব না।
ইত্যাকার নানান সংশয়ের মুখে পড়ে আমরা আমাদের ফরজ দায়িত্ব থেকে নিষ্ক্রিয় থাকছি, আর আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত আব্রু ও নিষ্পাপ শিশু সন্তানদের জীবন-মরণ শত্রুর করুণার উপর ছেড়ে দিচ্ছি।
.
অথচ একটু চোখ কান খুলে ডানে-বামে তাকালে আমার বর্তমান সক্ষমতার ভেতরই দায়িত্ব আদায়ের অসংখ্য কাজ আমি খুঁজে পেতে পারি, যা একদিকে যেমন আমাকে মহাপরাক্রমের বিচারের কাঠগড়া থেকে মুক্তি দিতে পারে, অপরদিকে আমার নির্যাতিত মুসলিম ভাই বোন ও নারী শিশুদেরও শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
.
এসব প্রশ্নের উত্তর কী, এসব সংশয়ের সমাধান কী, আমার সক্ষমতা কোথায়, কীভাবে আমি জি*হা*দের ফরজ দায় থেকে মুক্ত হতে পারি, কিভাবে হাজার কিলোমিটার দূর থেকেও মাজলুমের পাশে দাঁড়াতে পারি, এসব প্রশ্নের উত্তরের জন্য পড়ুন
“ফিলিস্তিন জি*হা*দ।। উলামায়ে কেরামের ফতোয়া ও মূল্যায়ন: একটি বিশ্লেষণ”
লিংক
https://fatwaa.org/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7/%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%86%e0%a6%95%e0%a6%b8%e0%a6%be-%e0%a6%89%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a7%87/