স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির পথ ও পদ্ধতির মধ্যে প্রথমটি হল নিজের খেয়াল ও ধ্যান ধারণাকে সব সময় পাক সাফ রাখবে। নিজের মনকে নিজের আয়ত্বে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে। সৎ ও ভালো লোকদের সাথে চলাফেরা করবে। এসবের সাথে সাথে খাবার ও পেট ভালো রাখাও অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
* অধিক মসলাজনিত খাবার, যেসব খাবার বিলম্বে হজম হয়, সেগুলো যথাসম্ভব কম খাবে। যেমন-গোশত, কাবাব, ডিম, অধিক পরিমাণে চা পান, কফি পান, বেগুন, মশুরির ডাল ইত্যাদি।
* খাবার দাবারে বিশেষ করে রাতের খাবার কমিয়ে দিবে এবং শোয়ার কমপক্ষে দুই ঘণ্টা পূর্বে খাবে। শোয়ার সময় অধিক পরিমাণে পানি ও চা পান করবে না। শোয়ার পূর্বে পেশাব পায়খানার প্রয়োজন সেরে ঘুমাবে। মূত্রথলীতে পেশাব জমা হয়ে স্বপ্নদোষ হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। নরম ও গরম বিছানায় শয়ন করা অনুচিত। বরং এমন ঘরে শোবে, যে ঘরে আলো বাতাস প্রবেশ করে।
* চিত হয়ে শয়ন করাও স্বপ্নদোষ হওয়ার সহায়ক।
* শেষ রাতে পেশাবের বেগ হলেই উঠে পেশাব করবে।
* গরমকালে রাতে অধিক গরম লাগলে এবং মেজাজও গরম থাকলে যদি গোসল করার দ্বারা কোনো সমস্যা না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে গোসল করে নেওয়া অনেক লাভ জনক।
* স্বপ্নদোষ প্রতিরোধক ওষুধ বেশি দিন সেবন করবে না। এতেও উল্টা এ্যাকশন হতে পারে। আজিবনের জন্য ধ্বজভঙ্গ রোগ হতে পারে।
* স্বপ্নদোষ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি শয়নকালে কখনো লিঙ্গে কোনো প্রকার মলম বা মালিশ ব্যবহার করে শয়ন করবে না। অন্যথায় স্বপ্নদোষের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
* স্বপ্নদোষ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি স্বপ্নদোষের চিকিৎসার পূর্বে হেকিমের নিকট নিজের পেটের হালত বর্ণনা করবে। চিকিৎসা চলাকালিন যৌন চাহিদা বৃদ্ধকারী কোনো প্রকার খাবার বা ওষুধ ব্যবহার করবে না।
* এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি রাতের খাবারে কাঁচা পেঁয়াজ খাবে না। অন্যথায় এ রাতেই স্বপ্নদোষ হবে।
* তামাক, বিড়ি, সিগারেটও সেবন করবে না। যদি এসব পান করতে অভ্যস্ত থাকে, তাহলে ধীরে ধীরে তা পরিত্যাগ করবে। কেননা, তামাক মানুষের দেমাগ ও বীর্যের জন্য অধিক ক্ষতিকর। বিষ যেমন মানুষের ক্ষতি করে, তামাক মানুষকে তাঁর চেয়েও বেশি ক্ষতি করে।