মৌলিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতির তিনটি পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু সবগুলো বৈধ নয়।
এক. জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যার দ্বারা নারী বা পুরুষ প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
দুই. অস্থায়ীভাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যার ফলে স্বামী-স্ত্রীর কেউ প্রজনন ক্ষমতাহীন হয়ে যায় না যেমন : কনডম ব্যবহার করা, পিল সেবন করা ইত্যাদি।
তিন. গর্ভধারনের পর গর্ভপাত ঘটানো।
প্রথম পদ্ধতিটি গ্রহণ করা সম্পূর্ণ অবৈধ। কেননা এতে আল্লাহর সৃষ্টির পরিবর্তন করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। তবে এক্ষেত্রেও কখনও কোনো কোন অভিজ্ঞ দীনদার ডাক্তারের বক্তব্যমতে গর্ভধারণের কারণে মায়ের প্রাণনাশের আশঙ্কা হলে স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করা বৈধ হবে।
আর দ্বিতীয় পদ্ধতি কেবল নিম্মোক্ত ক্ষেত্রে বৈধ হবে।
১। দুই বাচ্চার জন্মের মাঝে কিছু সময় বিরতি দেওয়া যাতে প্রথম সন্তানের লালন-পালন, পরিচর্যা ঠিকমত হয়।
২। কোন কারণে মহিলার বাচ্চা লালন-পালনের সামর্থ না থাকলে।
৩। মহিলা অসুস্থ ও দূর্বল হওয়ার কারণে গর্ভধারণ বিপদজনক হলে। তবে ভালোভাবে মনে রাখা দরকার যে, এ সকল ক্ষেত্রে বৈধতা শুধু ব্যক্তিগত প্রয়োজনে। রাষ্ট্রীয় ও সম্মিলিতভাবে মানুষের নিকট প্রচারণা করা ও এতে উদ্বুদ্ধ করা কোনোভাবেই বৈধ নয়।
আর তৃতীয় পদ্ধতিও নাজায়েয। তবে যদি মহিলা অত্যাধিক দূর্বল হয়, যার কারণে গর্ভধারণ তার জন্য আশঙ্কাজনক হয় আর গর্ভধারনের মেয়াদ চার মাসের কম হয়। তাহলে গর্ভপাত বৈধ হবে। আর মেয়াদ চার মাসের অধিক হলে বৈধ নয়।
[মুসলিম শরিফ ২/৩১৯, জাদীদ ফিকহী মাবাহেস ১/২৮২]