প্রথমে বলি, হাদিসে নয়; সরাসরি কোরআনে এমন কথা বলা আছে!
"অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু
থেকে সে সৃজিত হয়েছে।সে সৃজিত
হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে।
এটা নির্গত হয় মেরুদণ্ড বক্ষপাঁজরের মাঝ
থেকে।" (সূরা তারেক -৫-৭)
কোরআন মজীদ কমপক্ষে ১১ জায়গায়
মানুষকে নুতফাহ (শুক্র ) থেকে সৃষ্টির
কথা বলেছে। ‘নুতফাহ’ মানে
সামান্য পরিমাণ তরল পদার্থ কিংবা
পেয়ালার নীচে অবশিষ্ট সামান্য
পরিমাণ তরল জিনিস।এ বিষয়ে কোরআন
মজীদের নিম্নোক্ত সূরা ও আয়াতে
উল্লেখ এসেছেঃ
২২:৫; ২৩:১৩;১৬:৪; ১৮:৩৭;৩৫:১১; ৩৫:৭৭;
৪০:৬৭; ৫৩:৪৬; ৭৫:৩৭;৭৬:২; ৮০:১৯
আর সাম্প্রতিককালে বিজ্ঞানও একথা
নিশ্চিত করেছে যে,গড়ে ৩ মিলিয়ন
শুক্রকীট থেকে ১টি মাত্র শুক্রকীটই ডিম
নিষিক্তকরণের জন্য দরকার হয়।এর অপর
অর্থ হল উৎক্ষিপ্ত শুক্রকীটের ০.০০০০৩%
অংশই কেবল নিষিক্ত করণের জন্য দরকার।
আল্লাহ আরো বলেনঃ
“অতঃপর তিনি তার বংশধর সৃষ্টি
করেছেন তুচ্ছ পানির নির্যাস
থেকে।’ (সূরা আস সাজদাহ – ৮)
আর আমরাও জানি যে বীর্য নামক এক ধরণের নাপাক পানির অতি ক্ষুদ্র অংশ থেকে অর্থাৎ শুক্রাণু থেকে আমরা সৃস্টি হয়েছি। সুতরাং কথাটা কোরআন, বিজ্ঞান বা আমাদের জানাশোনা অনুযায়ী বানোয়াট নয়, বরং ১০০% সঠিক।
এ কথার মাধ্যমে মূলত ওলামাগণ আমাদের বোঝাতে চান যে, "আমরা এক সময় কত তুচ্ছ, নগন্য ছিলাম। তাহলে আমরা কেন এত অহংকার করি?" আশা করি উত্তর পেয়েছেন।