সিভিট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিচে বর্ণিত হলো: উপকারিতাঃ সিভিট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়াও ত্বক সুন্দর রাখার পাশাপাশি দাঁতও ভালো রাখতে সাহায্য করে। ত্বক, দাঁত ও চুল ভালো রাখ পাশাপাশি এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।এছাড়া শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন শোষণে সহায়তা করে। সাধারণ সর্দি-কাশিতেও এই ভিটামিন বেশ উপকারী। তবে ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হওয়ার আগ থেকে, পর্যাপ্ত সিভিট গ্রহণ করলে বেশি উপকার পাওয়া যায় বলে প্রমাণিত। তাছাড়া ভিটামিন সি’তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন সি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এই ভিটামিন প্রায় সব ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন সি হাড়ের ক্ষয় বা ভঙ্গুর হওয়ার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া মেনোপজ পরবর্তী সময়ে যেসব নারীরা ভিটামিন সি বেশি গ্রহণ করেন তাদের হাড় অন্যদের তুলনায় বেশি মজবুত থাকে।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। অপকারিতাঃ ভিটামিন সি বা সিভিট নিজেই একটা এসিড (অ্যাসকরবিক এসিড)। তাই অতিরিক্ত ভিটামিন সি নিয়মিত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যেমন: বুক জ্বালাপোড়া, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে।তাছাড়া অতিমাত্রায় নিয়মিত ভিটামিন-সি সেবনে কিডনিতে পাথর হতে পারে।তাই স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ১টির বেশি ভিটামিন-সি ট্যাবলেট খাওয়া অপ্রয়োজনীয় ও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তবে ক্ষত সারাতে, অপারেশনের পর, রক্তাল্পতায় আয়রণের শোষণ বাড়াতে, বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মায়েদের অতিরিক্ত ভিটামিন সি এর প্রয়োজন হয় বিধায় ঐ সময়টুকু কেবল অধিক মাত্রায় ভিটামিন সি সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তারেরা।