পুরুষের জন্য রুপার আংটি ব্যবহার করা জায়েজ; কারো কারো মতে তা সুন্নাত। কিন্তু রূপা ব্যতিত অন্য কোন ধাতু বা পাথর ব্যবহার করা নিষেধ; বিশেষ করে সোনার আংটি সম্পূর্ণরূপেই নিষিদ্ধ। অনুরূপভাবে পাথর ব্যবহার করাও অনুমোদিত নয়। বিশেষ উদ্দেশ্যে আংটি বা পাথর ব্যবহার : শনির দশা, রাহুর গ্রাস ও কালের দৃষ্টি থেকে রক্ষা; ফাড়া কাটানো, দূর্ভাগ্য দূর করা, সৌভাগ্য আনয়ন করা; রোগমুক্তি বা আরোগ্য লাভ এবং সুস্বাস্থ্য অর্জন ও নিরোগ থাকা- এসব উদ্দেশ্যে আংটি ও পাথর ব্যবহার করা একাধারে অযৌক্তিক, অবৈজ্ঞানিক, অপরিণামদর্শী, অজ্ঞতাপ্রসূত, হারাম ও শিরক। কারণ এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়; কুরআন সুন্নাহ নির্দেশিত শরীয়াসম্মত পন্থাও নয়। বিশেষত রাশির সাথে মিল করে যে পাথর দেয়া হয়, ইসলামী বিধান মতো ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সে রাশিও বাস্তবসম্মত নয়; এবং তা বিশ্বাস করাও অজ্ঞতা ও শিরক।
তাই পাথরের আংটি, তামার আংটি, পিতলের অংটি, অষ্টধাতুর আংটি, পারদের অংটি, ঘোড়ার নালের আংটি। ব্রোঞ্জের আংটি, পিতলের আংটি, দস্তার আংটি, কাসার আংটি, স্টীলের আংটি, লোহার আংটি ইত্যাদি ব্যাবহার করা জায়েজ নয়।
আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) সাধারণত কোনো প্রকার অলঙ্কার ব্যবহার করতেন না। রাষ্ট্রীয় দাফতরিক কাজের প্রয়োজনে সীল মোহর হিসেবে রূপার আংটি ব্যবহার করেছেন। সে আংটির হলকা বা রিং এবং নগিনা বা পাত উভয় ছিলো রূপার। তাতে লেখা ছিলো- মুহাম্মাদ রাসূল আল্লাহ। তিনি এ আংটি ডান হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলে পরতেন। তিনি কখনো আংটিতে পাথর ব্যবহার করেনি। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া)।
তাই কোনো কোনো ফকীহের মতে পুরুষ শুধু প্রয়োজনেই আংটি ব্যবহার করতে পারবেন, কারো কারো মতে পুরুষের জন্য সাধারণভাবে অংটি পড়া অনুমোদিত, আবার কারো মতে আংটি ব্যবহার করা সুন্নাত; তবে সর্বাবস্থায় সেটি শূধুমাত্র রূপারই হতে হবে।
—মুফতী শাঈখ মুহাম্মাদ উসমান গণি