300 বার প্রদর্শিত
"ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে করেছেন Level 5
১০ বছর বয়স হতে নামাজ ফরজ।কোনো ব্যক্তি যদি ৬০ বছর বয়সে জানতে পারে যে নামাজ ফরজ এবং নামাজ না পড়লে কবীরা গুনাহ হবে এবং তখন থেকেই ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করে তাহলে কী তার আগের কাযা নামাজ আদায় করতে হবে?
করেছেন Level 3
–3
ভাই লোকটা যদি মুসলমান হয়ে থাকে তাহলে তার তো জানারই কথা যে নামাজ ফরজ।আর যদি এখন মুসলমান হয় তাহলে তো আর তাকে আগের বিষয়ে ধরা হবে না।

1 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন Level 7
আল্লাহ তায়ালা ৫ ওয়াক্ত সালাত কে ফরয করেছেন ।এক ওয়াক্ত নামাজ কারণ ব্যতিত ছেড়ে দিলে বা ৮১ হোব্বা জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে।তবে যদি কাযা আদায় করে নেয় তাহলে ৮০ হোব্বা মাপ।একজন সুস্থ মস্তিষ্কের ব্যক্তির নামাজ ফরয হয়েছে এটা জানতে ৬০ বছর লাগবে না।তবে ৬০ বছরের কোন পাপীও যদি সত্যিই আল্লাহ এবং তার হুকুম গুলোকে সঠিক ভাবে চিনে ফেলে এবং যথাযথ ভাবে পালন করতে থাকে , বেশি বেশি আস্তাগফিরুল্লাহ এবং আল্লাহর জিকির করতে থাকে এবং তাহাজ্জুদ পড়ে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে কাদঁতে থাকে , যে জীবনে আর নামাজ কাযা করব না আর গুনাহটর কাজ করব না তাহলে আল্লাহ তায়ালা চাহে তো তাকে মাপ করে দিলেও দিতে পারে। শুধু নামাজ ছেড়ে দেয়ার গুনাহ নয় , যেকোন গুনাই হোক যদি বান্দা আল্লাহর খুদরতি পায়ে সেজদাহ দিয়ে চোখের পানি ছেড়ে অন্তর বা দীল থেকে তাওবা করতে পারে তাহলে আল্লাহ তার বান্দা কে মাপ না করে পারে না।
করেছেন Level 3
একেবারে সর্বোত্তম উত্তর টাই দিয়েছেন।
করেছেন Level 6
আপনার প্রথম কথাটির সাথে আমি একমত না, যা কিনা পুরাপুরি বানোয়াট     
করেছেন Level 7
আপনি কিভাবে বোঝলেন এটা বানোয়াট।আপনার দলীল দেন
করেছেন Level 6
আমি আপনার ৮০ হুকবার কথা বলছি। এ কথাটি বানোয়াট। ছহীহ হাদীছের দৃষ্টিকোণ থেকে কথাটি সঠিক নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ঘুম বা ভুলের কারণে যে ব্যক্তির ছালাত ছুটে যাবে, তার কাফ্ফারা হল যখন স্মরণ হবে তখন তা পড়ে নেয়া। [ছহীহ বুখারী হা/৫৯৭, ১/৮৪ পৃঃ, (ইফাবা হা/৫৭০, ২/৩৫ পৃঃ] এছাড়া রাসূল (ছাঃ) এবং ছাহাবায়ে কেরাম খন্দকের যুদ্ধের দিন সূর্য ডুবার পর আছরের ছালাত আদায় করেন। অতঃপর মাগরিবের ছালাত আদায় করেন। [ছহীহ বুখারী হা/৫৯৬ ও ৫৯৮, ১/৮৪ পৃঃ, (ইফাবা হা/৫৬৯, ২/৩৫ পৃঃ] ওয়াক্ত পার হয়ে যাওয়ার পর রাসূল (ছাঃ) জামাআতের সাথে ছালাত আদায় করেছেন। [ছহীহ মুসলিম হা/১৪৬২, ১/২২৭, (ইফাবা হা/১৩০৩), ‘মসজিদ সমূহ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৩৭] আমরা জানলাম যে, রাসুল ও তার সাহাবাগণও কয়েকবার কাযা সালাত পড়েছেন। তাহলে বলুন রাসুল (ছাঃ) ও তার সাহাবাগণও কি দুই কোটি অষ্টাশি লক্ষ বছরের জন্য জাহান্নামে যাবেন? [নাঊযুবিল্লাহ]।
করেছেন Level 6
আমার খুবই দূঃখ লাগে, যখন দেখি এতগুলো চমৎকার সব হাদিস রেখে মানুষ বানোয়াট, জাল কথা রাসুল (ছা.) এর নামে চালিয়ে দিচ্ছে।      
করেছেন Level 7
কেও যদি ইচ্ছা করে নামাজ কাযা না করে তাহলে তাকে আল্লাহ তায়ালা কাযা আদায় করে নিলে মাপ করে দিবেন এটাই সত্য । আপনি যে কথাটি বলেছেন এটা আমিও পড়েছি কিন্তু কথা হল আমাদের নবী এবং সাহাবায়ে কেরাম ইচ্ছা করে নামাজ কখনোই কাযা করে নি।আপনি যদি এমন কোন হাদিস প্রমান দেখাতে পারেন যে রাসুল এবং সাহাবারা ইচ্ছা করে নামাজ কাযা করেছে তাহলে আমি এটাকে ভুল বা বানোয়াট বলে স্বিকার করে নিব।মনে করুন আপনি ফজরের সালাত জামাতে পড়ার নিয়তে আল্লাহর নামে ঘুমের দোয়া পাঠ করে ঘুমাতে গেলেন ।ঘুম থেকে জাগানোর মালিক যে আল্লাহ আপনাকে চিরনিদ্রায় পাঠিয়ে দেয়ার মালিকও সেই আল্লাহ।তাই আপনাকে যদি আল্লাহ ফজরের ওয়াক্তের আগে ঘুম থেকে না জাগিয়ে তুলে তাহলে আপনি ফজরের সালাত সময় মতো পড়তে পারলেন না ।আর উঠার পর আফসোস করতে থাকেন এবং নামাজটা কাযা আদায় করে নেন তাহলে আল্লাহ আপনার জন্যে এক হোব্বা দোযকও রাখবে না ।বোঝতে পারলেন ।এক উলামার কথা শুনে নবীর ফাযায়ালে আমল নামক বিশুদ্ধ বইয়ের হাদিসটাকে ভুল বা বানোয়াট বলা ঠিক না।
করেছেন Level 7
আপনি বলেছেন যুদ্ধের দিনের কথা।সেইদিন রাসূল সাঃ আঃ এবং সাহাবারা কি ইচ্ছা করে নামাজ কাযা করেছিলো ? জবাব দেন ।তারা সে দিন আল্লাহর দীন ইসলামের জন্যে লড়েছিলো । যদি উত্তর না হয় তাহলে নবীর হাদিসটাও সত্য।
করেছেন Level 6
এধরনের বিভ্রান্তির আশংকায় আমি আগেই বলে নিয়েছিলাম, আমি শুধু ৮০ হুকবা এর কথা বলছি। বাঁকি কথাগুলো ঠিক আছে। 

আমি বলেছি, "এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করলে এবং তা পরে পড়ে নিলেও ৮০ হুকবা জাহান্নাম" এই মর্মে যে কথা উল্লেখ করেছেন, তা বানোয়াট।

 আমি কস্মিনকালেও বলিনি নি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগ করা যাবে।           
করেছেন Level 6
ফাজায়েলে আমল নিয়ে কিছু কথা বলে নিই। আমি জানি এটা খুবই ভাল কিতাব যা আমিও পড়েছি । কিন্তু আপনি সম্ভবত শুধু বাংলা অনুবাদ পড়েছেন। ফাজায়েলে আমলের মধ্যে এভাবে পাওয়া যায় যে,

 নবী (ছাঃ) বলেন, যদি কোন ব্যক্তি এক ওয়াক্ত ছালাত ছেড়ে দেয় আর ইতিমধ্যে ঐ ছালাতের ওয়াক্ত পার হয়ে যায় এবং ছালাত আদায় করে নেয়, তবুও তাকে এক হুকবা জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে। এক হুকবা হল, ৮০ বছর। আর প্রত্যেক বছর ৩৬০ তিন। আর প্রত্যেক দিন এক হাজার বছরের সমান, যেভাবে তোমরা গণনা কর। উল্লেখ্য, উক্ত হিসাব অনুযায়ী সর্বমোট দুই কোটি অষ্টাশি লক্ষ বছর হয়। [ফাযায়েলে আমল (উর্দূ), পৃঃ ৩৯; বাংলা, পৃঃ ১১৬] ■তাহক্বীকঃ বর্ণনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। উক্ত বক্তব্য ফাযায়েলে আমল-এর ফাযায়েলে নামায অংশে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোন প্রমাণ পেশ করা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, এভাবেই ‘মাজালিসুল আবরারে’ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আমার নিকটে হাদীছের যে সমস্ত গ্রন্থ রয়েছে, তার মধ্যে আমি উহা পাইনি। [ফাযায়েলে আমল (উর্দূ), পৃঃ ৩৯; বাংলা, পৃঃ ১১৬] এখানে লেখক নিজেই যেহেতু স্বীকার করেছেন, সেহেতু আমরা নতুন কোন তাহক্বীক বা মন্তব্যের প্রয়োজন বোধ করছি না। তবে দুঃখজনক হল,বাংলা অনুবাদে তাঁর এই স্বীকারক্তিটুকু উল্লেখ করা হয় নাই!
করেছেন Level 7
নবী হাদিসটা যেভাবে বর্ণনা করেছিলেন সেখান থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় তিনি ইচ্ছাকৃত নামাজ ত্যাগকারীদের ব্যাপারেই এই শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন । তিনি বলেছেন ভুল বা ঘুম মানে অনিচ্ছাবশত নামাজ নামাজ না পড়ে থাকলে পরে আদায় করে নিতে এতে অবশ্যই আল্লাহ মাপ করবেন।নবী যুদ্ধের কারনে নামাজ করতে পারেন নি এটা উল্লেখ করে হাদিসটাকে বানোয়াট প্রমাণ করা হচ্ছে আমি মনে করি এটাও ভন্ডামি কেননা নবী এবং সাহাবারা কখনোই ইচ্ছা করে নামাজ কাযা করেন নি সুতরাং তাদের ২ কোটি ৮৮ লক্ষ বছর জাহান্নামে যাবেন এই প্রশ্নটাও পাপ।নবী বলেছেন যারা ইচ্ছকৃত নামাজ কাযা করবে তাদের কথা আর সমালোচনাকারী তুলে আনলেন অনিচ্ছা বশত নামাজ কাযা হয়েছিলো এমন হাদিস।যেহেতু নবীরা ইচ্ছা করে কখনোই নামাজ কাযা করেনি সুতরাং হাদিসটাকে বানোয়াট বলা ভন্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
করেছেন Level 7
মূলত যারা ইচ্ছাকৃত নামাজ ত্যাগ করবে তাদের জন্যেই এই হাদিস।এটাকে ভুল বলে চালিয়ে দেয়া ভন্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়।
করেছেন Level 6
এখন আপনি আপনার কথার দলিল দেন দেখি! আমি কিন্তু দলিল দিয়েছি। আর আমি আবারও বলছি, আমি কখনও বলিনি ইচ্ছাকৃত নামাজ ত্যাগ করা যাবে। বরং ৮০ হুকবার বিষয়টিই জাল, মানুষের বানানো কথা। 

নামাজ না পড়লে শাস্তি হবে, সন্দেহ নেই। কিন্তু যখন মানুষ জাল কথা রাসুল ছা. এর নামে চালিয়ে তখন কষ্ট লাগে।

 আপনি কোনোভাবে প্রমাণ করতে পারবেন, যে এই হাদিসটি সহিহ। (আমি কিন্তু প্রমাণ দিয়েছি)                    
করেছেন Level 7
আপনার যুক্তি গুলোই তো ঠিক না কেননা নবী কখনোই ইচ্ছাকৃত নামাজ ছাড়েন নি আর আপনি অনিচ্ছাবশত নামাজ কাযার হাদিস দেখিয়ে বানোয়াট বলার চেষ্টা করছেন।আর আমি কি প্রমাণ দেখাব উল্টা পাল্টা প্রমান আমি আপনার মতো দেখাতে পারব না।
করেছেন Level 6
আচ্ছা, আমার সব যুক্তি বাদ দেন। আপনি প্রমাণ / দলিল দেখান যে, হাদিসটা সহিহ।  
করেছেন Level 6
আপনি কোনো প্রমাণ, দলিল ছাড়া আমার সাথে শুধু তর্ক করছেন। আমি প্রমাণ করার পরও আপনি যেন "চোখ থাকতেও দেখছেন না" "কান থাকতেও শুনছেন না" (যেমন কোরআনে বলা আছে)
করেছেন Level 6
আচ্ছা ঠিক আছে, আমি ভন্ড; (!) তারমানে ফাজায়েলে আমলের সেই খুবই জ্ঞানী লেখকও ভন্ড! বর্তমান সময়ের সেরা সেরা সব আলেমরাও ভন্ড! (যেমনঃ ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, শাইখ আল বানি, শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বা'আস, ড. গালিব)     
করেছেন Level 7
হাদিস যেভাবে বলেছে তার বিপরীত যুক্তি যেহেতু দিতে পারলেন না সুতরাং হাদিসটা সহি ।এখানে আমার আর কিছু বলার নেই।হাদিস বলেছে ইচ্ছা বশত ত্যাগের শাস্তির কথা আর আপনি বলেছেন অনিচ্ছা বশত ত্যাগের কথা।এখানে আকাশ পাতাল ব্যবধান।
করেছেন Level 6
কোরআনের একটা উদৃতি দিয়ে বিতর্ক শেষ করছি 

"যখন সত্য আসিয়া মিথ্যার সামনে দন্ডায়মান হয়, তখন মিথ্যা বিলুপ্ত হইয়া যায়; কারণ মিথ্যা তো বিলুপ্ত হউয়ার জন্যই" 

আসসালামু আলাইকুম।   

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
09 মে 2020 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ainul VS Rimon Level 7
2 টি উত্তর
14 জুন 2020 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন KHAN BAHADUR SHADI Level 5
0 টি উত্তর
29 মে 2020 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন KHAN BAHADUR SHADI Level 5
1 উত্তর
29 মে 2020 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন KHAN BAHADUR SHADI Level 5
1 উত্তর
29 মে 2020 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন KHAN BAHADUR SHADI Level 5
1 উত্তর
29 মে 2020 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন KHAN BAHADUR SHADI Level 5
2 টি উত্তর
28 মে 2020 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন KHAN BAHADUR SHADI Level 5
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...