দশটি উপায়ে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন এবং আল্লাহকে ভালোবাসার প্রমাণ দেওয়া যায়; (এক) জেনে-বুঝে, তাৎপর্য অনুধাবন করে কুরআন অধ্যায়ন করা এবং কুরআনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সে অনুযায়ী আমল করা ও হুকুম-আহকাম বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে। (দুই) নির্ধারিত ফরযসমূহ পালন ছাড়াও নফল ইবাদাতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা। বেশী বেশী ভালো কাজ করা এবং মন্দ কাজ হতে নিরাপদ দূরে থাকা। (তিন) মুখে, অন্তরে এবং কাজে-কর্মে সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকির (স্মরণ) অব্যহত রাখা। (চার) মনের প্রবল ইচ্ছা বাসনাকে আল্লাহর ভালোবাসার অধীন করে দেওয়া। (পাঁচ) মন-অন্তকরণ, আল্লাহর নাম, গুণ এবং গুণাবলীর প্রত্যক্ষ প্রভাব-প্রতিপত্তির মর্ম গভীরভাবে উপলব্ধি করা। (ছয়) আল্লাহর প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য মহা অনুগ্রহ, দয়া নিয়ামতের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে সর্বদা স্মরণ রাখা প্রত্যেকের একান্ত কর্তব্য। (সাত) হৃদয়-মন উজাড় করে বিনয়াবনত চিত্তে একাগ্রতার সাথে মহামহিয়ান আল্লাহর দরবারে ধর্ণা দেওয়া। (আট) আল্লাহর সান্নিধ্যে নিজকে সম্পূর্ণ সোপর্দ করে রাতের শেষভাগে বা লগ্নে আল্লাহ যখন প্রথম আকাশে অবতরণ করেন তখন এবং দো‘আ কবুলের অন্যান্য সময়ে অবিরাম, অক্লান্তভাবে দো‘আয় মগ্ন থাকা। (নয়) সত্যপন্থি দীনদার-ঈমানদার আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখা, তাদের কাছে গমন করা, পরামর্শ নেওয়া। তাদের কথা-বার্তা, আলাপ আলাচনা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ এবং তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। জীবনকে সুস্থ-সুন্দররূপে গড়ে তোলা। আর পূর্বাপর পরিবেশ পরিস্থিতির সমন্নয় করতে হবে সত্যপন্থী ন্যায়-নিষ্ঠদের উপস্থাপিত আদর্শ এবং তার মূলসূত্র থেকে। (দশ) মহামহিয়ান আল্লাহ এবং বান্দার আত্মার মাঝের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করতে হবে। যেমন: মিথ্যা বলা, হারাম খাওয়া, জুলুম অত্যাচার করা ইত্যাদি[38]।