বায়ুবাহিত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক কতটা কার্যকর সে ব্যাপারে যথেষ্ট সংশয়ে আছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা, যাদেরকে বলা হয় ভাইরোলজিস্ট। তবে হাত থেকে মুখে সংক্রমণ ঠেকাতে এই মাস্ক ব্যবহার করে কিছুটা সুফল পাওয়া যেতে পারে। ফেস মাস্ক পরিধান করলেই আপনি করোনায় আক্রান্ত হবেন না এমন কোনও গ্যারান্টি নেই। ভাইরাসগুলি অতিক্ষুদ্র হওয়ায় মাস্কের ভেতর দিয়েও শরীরে প্রবেশ করতে পারে। চোখ কিংবা অন্যন্য অঙ্গ থেকে হাতের সাহায্যে এটা দেহের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। তবে মাস্ক পরিধান করলে এটা প্রতিরোধে কিছুটা সহায়ক হতে পারে। আপনার যদি সংক্রামিত কারও সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তবে মাস্ক পরা থাকলে সেটা রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে। এই কারণে করোনা রোগীদের দেখাশোনা করা স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা কর্মীদের জন্য মাস্ক পরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগীর সঙ্গে দেখা করতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরে নেওয়া উচিত। লন্ডনের সেন্ট জর্জ ইউনিভার্সিটির ডা. ডেভিড ক্যারিংটন সংবাদমাধ্যম বিবিসি'কে বলেন, "বাতাসে থাকা ভাইরাস ও ব্যকটোরিয়া ঠেকাতে সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্কের ব্যবহার যথেষ্ঠ না, কারণ সেগুলো খুবই ঢিলেঢালা, কোনো এয়ার ফিল্টার থাকে না এবং চোখ খোলা থাকে। তবে উন্নত প্রযুক্তির এয়ারফিল্টার লাগানো মাস্ক ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পুরোপুরি কাজ করে। তবে দীর্ঘসময় ধরে টানা এই মাস্ক পরে থাকা আসলেই একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এই চিকিৎসক আরও বলেন, তবে সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্কগুলো পরা থাকলে হাঁচি বা কাশি দিলে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কম থাকে এবং হাত থেকে মুখে জীবাণুর বিস্তারে কিছুটা নিরাপত্তা দেয়। যাই হোক, আপনি যদি শহর কিংবা এমন কোন স্থানে ভ্রমণ করেন যেখানে অধিক লোকের সমাগম আছে তাহলে অবশ্যই মাস্ক পরে নেবেন। বাসে কিংবা গণপরিবহণে চলাচলের ক্ষেত্রেও মাস্ক পরা থাকলে সেটা আপনাকে অন্যদের চেয়ে বেশি সুরক্ষা দেবে।