১. মুখের দুর্গন্ধের জন্য অবশ্যই ভালো মানের টুথ পেস্ট ও টুথ ব্রাশ ব্যবহার করুন। কেননা মুখে দুর্গন্ধ হয় ব্যাকটেরিয়ার কারণে আর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি হয় মুখে খাদ্যকণা জমে থাকলে। তাই সময়ে নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে খুব ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করে নিন। তারপর দাঁত ফ্লস করুন ও মাউথ ওয়াশ দিয়ে ভালো করে কুলি করে নিন। দিয়ে অন্তত দুইবার করুন। এছাড়াও মুখের গন্ধের জন্য দৈনিক কয়েকটি পুদিনা পাতা বা লং চিবাতে পারেন। এতে নিঃশ্বাসের সাথে বাজে দুর্গন্ধ নিয়ে আর কখনো বিব্রত হতে হবে না।
নারী ও পুরুষ দেহে দুর্গন্ধ তৈরি হবার স্থানগুলো একটু ভিন্ন। ছবি :ইন্টারনেট
২. বগল বা গোপন স্থানে ঘামের দুর্গন্ধ হয় খুব? সেক্ষেত্রে এই স্থানগুলো পরিষ্কার-রাখুন। বগলে বা গোপন স্থানে চুলের জন্য বাজে গন্ধ অনেক বেশি হয়। নিয়মিত ওয়াক্সিন বা শেভ করে পরিষ্কার রাখলে দুর্গন্ধ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
৩. পানির সাথে একটু ভিনেগার বা ডেটল/ স্যাভলন মিশিয়ে নিন। বাথরুমের বড় মগের এক মগ পানিতে ১ চা চামচ পরিমাণ দিলেই হবে। এবার তুলো বা পরিষ্কার কাপড় এই মিশ্রণে ভিজিয়ে বেশি দুর্গন্ধ হওয়া স্থানগুলো মুছে নিন। যেমন- বগল, শরীরের ভাঁজ, গোপন স্থান, ঘাড়, গোলা, হাঁটুর পেছন ইত্যাদি।
৪. ভালো মানের ডিওডোরেন্ট ও পারফিউম ব্যবহার করুন। ভালো মানের প্রসাধনীতে শরীরের বাজে গন্ধ চাপা থাকে। বিশেষ করে যারা সারাদিন বাইরে থাকেন, তাদের জন্য এটা খুবই কার্যকরী।
৫. ঘামে ভেজা কাপড় বেশিক্ষণ পরে থাকবেন না। যদি সাথে সাথে বদল করা সম্ভব না হয়, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব শুকিয়ে নিন। হালকা পারফিউম স্প্রে করে নিতে পারেন। ঘামে ভেজা কাপড় দ্বিতীয়বার পরবেন না।
কেবল দেহে নয়, গন্ধ হতে পারে পোশাকেও। ছবি :ইন্টারনেট
৬. গায়ে দুর্গন্ধ হবার সমস্যা থাকলে রোজকার কাপড় রোজ ধুয়ে ফেলুন এবং কড়া রোদে শুকিয়ে নিন। কাপড়ে ভালো করে ডিটারজেন্ট দিয়ে বেশ খানিকটা সময় ভিজিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে নেবেন। বেশি করে পানি দিয়ে ধোবেন। চুলার ওপরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে কাপড় শুকালে গায়ে দুর্গন্ধ বেশি হয়। আজকাল অনেক রকমের ফেব্রিক ফ্রেশনার কিনতে পাওয়া যায়। কাপড় ধোয়ার পর পানি ফ্রেশনার মিশিয়ে তাতে কাপড় ধুয়ে নিয়ে নিলেই কাপড় থাকে অনেকক্ষণ ফ্রেশ। ঘামে ভিজলেও সহজে গন্ধ হয় না। এছাড়াও কাপড় যে আলমারিতে রাখবেন, সেখানে যেন স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ না থাকে সেটাও খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য চুল পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখা জরুরী। কখনোই ভেজা চুল বেঁধে রাখবেন না। বরং ঘামে চুলের গোঁড়া ভিজে গেলেও যত দ্রুত সম্ভব চুল আবার শুকিয়ে নিন। যারা বাইরে যান তারা রোজ শ্যাম্পু করুন। নোংরা চুল মানেই ক্ষতিগ্রস্থ চুল। মাথায় খুশকি বা অন্য কোন চর্ম রোগ আছে কিনা লক্ষ্য করুন। থেকে থাকলে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করুন। চুল ধোবার পর অবশ্যই চুল শুকিয়ে নিন খুব ভালো করে।
শরীরের দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে নিজের খাওয়া-দাওয়ার প্রতিও হতে হবে মনযোগী। মাংস, পেঁয়াজ , রসুন সহ সকল গুরুপাক খাবার কম কম খাবেন। প্রচুর পানি ও তাজা সবজি-ফল খাবেন। দেহ যদি ভেতর থেকে সতেজ থাকে, তাহলে বাইরে থেকেও ভালো থাকবে।