হিসাবরক্ষণ পদ্ধতিতে কিছু ভুল রেওয়ামিলের মাধ্যমে ধরা পড়ে না, যাকে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: ১. নীতিগত ভুল, ২. করণিক ভুল। নীতিগত ভুল: হিসাবরক্ষণের নীতিমালা না মেনে লেনদেন লিপিবদ্ধ করা হলে তাকে নীতিগত ভুল বলে। যেমন- বিলম্বিত বিজ্ঞাপনকে সম্পওি হিসাবে না দেখিয়ে ব্যয় হিসাবে দেখানো হলে। কারণ, বিলম্বিত বিজ্ঞাপনের প্রভাব একাদিক হিসাবকালের উপর বন্টিত হয়। কিন্তু ব্যয় হিসাবে দেখানো হলে তা শুধুমাএ একটি বছরের উপর দেখানো হয়। করণিক ভুল: একজন হিসাববিদ হিসাবরক্ষণ প্রক্রিয়ায় অসাবধনতাবশত যে ভুলগুলো করেন তাকে করণিক ভুল বলা হয়। করণিক ভুল ৪ প্রকার :- ১. বাদ পড়ার ভুল, ২. লেখার ভুল, ৩. পরিপূরক ভুল এবং ৪. বেদাখিলার ভুল। বাদ পড়ার ভুল:- লিপিবদ্ধকরণের সময় কোন লেনদেন সম্পূর্ণরূপে বাদ পড়লে তাকে বাদ পড়ার ভুল বলে। যেমন, ৫,০০০ টাকার পণ্য ক্রয় লিপিবদ্ধকরা হলো না। যার ফলে এখানে, ৫,০০০ টাকার পণ্য কম দেখানো হয়েছে। লেখার ভুল:- লেনদেন লিপিবদ্ধকরনের সময় টাকার অঙ্ক ভুল হলে তাকে লেখার ভুল বলে। যেমন,৫০০০ টাকার ক্রয়কে ৫০০ টাকায় লিপিবদ্ধ করা হলে। পরিপূরক ভুল:- লেনদেন লিপিবদ্ধকরনের সময় একাধিক ভুল হলে,এবং তাদের একটির দ্বারা অপরটি সংশোধিত হলে তাকে পরিপূরক ভুল বলে। যেমন- বেতন ৫,০০০ টাকার বদলে ৪,০০০ টাকা চার্জ করা হয়ছে। অন্যদিকে, ক্রয় ৪,০০০ টাকার বদলে ৫,০০০ টাকা চার্জ করা হয়েছে। বে-দাখিলার ভুল:- লেনদেন লিপিবদ্ধকরনের সময় কোন নির্দিষ্ট হিসাবকে ডেবিট বা ক্রেডিট করার বদলে সমজাতীয় অন্য হিসাবকে ডেবিট বা ক্রেডিট করলে তাকে বে-দাখিলার ভুল বলে। যেমন- ৫,০০০ টাকার বেতনকে ৫,০০০ টাকায় ভাড়া হিসাবে লিপিবদ্ধ করা হলে। উৎস: উইকিপিডিয়া