এটা অবশ্যই যৌক্তিক হবে। জান বাঁচানো ফরজ।ভাইরাস একটি অদৃশ্য শক্তি তাই এটিকে আপনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কিন্তু এটি যদি দৃশ্যমান হতো ঠিকই সবাই গুরুত্ব দিতো।ইসলামিক দেশগুলি যেমনঃ সৌদি আরবেও মসজিদে নামাজ সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে।হাদীসে এসেছে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বাইরে যেতে অসুবিধা হলে ঘরে নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে।যেখানে সামান্য বৃষ্টির কারণে ঘরে নামাজ পড়তে বলা হয়েছে সেখানে একটা মরণঘাতী ভাইরাস থেকে বাঁচতে অবশ্যই ঘরে নামাজ পড়া যৌক্তিক হবে।
”হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, একদিন বৃষ্টিপাত হচ্ছিল প্রচুর, মুহাম্মদ (সা.) তার মুয়াজ্জিনকে বললেন, যখন তুমি ‘আশহাদু আন্নাহ মুহাম্মাদার রাসুল্লাহ’ বল, তারপর তুমি বলবে, ‘সাল্লু ফি বুয়ুতিকুম’ বা তোমরা ঘরে নামাজ আদায় করো। এটা কিন্তু বোখারী ও মুসলিমের হাদিস।
”যখন মোয়াজ্জিন এটা বললেন, তখন লোকেরা এটা অপছন্দ করল। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস তাদের লক্ষ্য করে বললেন, আমার ও তোমাদের চেয়ে উত্তম যিনি, হজরত মুহাম্মদ (সা.) তিনিও বরং এটি করেছেন। তিনি এ কথা বলেছেন।”
বৃষ্টির দিনে যদি মসজিদে আসতে বারণ করা বা অনুৎসাহিত করা হয়, কারণ যিনি বৃষ্টি ভিজবেন, তিনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। অর্থাৎ কাদা শরীরে লেগে ক্ষত তৈরি হতে পারে এ কারণে যদি নামাজ আদায়ে বারণ করা হয়, তাহলে করোনাভাইরাসের মতো অভূতপূর্ব রোগের কারণে কি এই বিধান দিতে পারে না?
”অন্য সময়ে মসজিদে লোক পাওয়া যায় না, কিন্তু করোনাভাইরাসের মধ্যে আবেগ দেখাচ্ছি। এটা কিন্তু আবেগের বিষয় না, এটা এখন বাস্তবতা।”