রাগ মানুষের স্বাভাবিক অনুভূতি। তবে তার প্রকাশ অনেক সময়েই অস্বাভাবিক হয়ে যায়। অনেকের আবার অল্পেই রাগ হয়। কথায় কথায় রেগে যান। একেবারেই রাগ নেই, এমন মানুষ পাওয়াই যাবে না। তবে অনেকেরই বহি:প্রকাশ কম থাকে। আর অতিরিক্ত রাগ মোটেও ভাল নয়। এর ফলে নিজের কিংবা অন্যের জন্য ক্ষতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা রাগ কমানোর নানা উপায় বলেন। এর মধ্যে ১০টি উপায় যে কেউই আয়ত্ত করতে পারেন। দেখে নেওয়া যাক কী কী বলেন বিশেষজ্ঞরা। ১। মনকে যতটা সম্ভব শান্ত রাখার চেষ্টা করুন, এক থেকে দশ পর্যন্ত উল্টো করে গুনতে পারেন, তাহলে মস্তিষ্ককে কিছুটা অন্যদিকে ব্যস্ত রাখা যাবে। এটা রাগ কমাতে সাহায্যে করে। ২। হঠাৎ করে রাগের মাথায় কোনও কথা বা কাজ করে বসবেন না, সময় নিন, প্রয়োজন হলে সেই মানুষটার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বন্ধ রাখুন অথবা রাগের কারণটি থেকে নিজের মনকে অন্যদিকে সরিয়ে নিন। ৩। আপনি যখন শান্ত হয়ে যাবেন, আপনার রাগের কারণগুলো তার সামনে তুলে ধরুন, ততক্ষণে অপরজনের মাথাও ঠাণ্ডা হয়ে যাবে, সে ভালভাবে আপনার কথা বুঝতে পারবে। ৪। নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে পারেন। এতেও রাগের প্রবণতা কমে। ক্ষণিকের রাগ কমাতে কিছুটা পথ হাঁটতে পারেন। ৫। আপনি যখন রেগে আছেন স্বাভাবিকভাবেই আপনার মধ্যে নমনীয়তা কাজ করবে না, আর তাই হঠাৎ করে এমন কিছু কথা বলে ফেলতে পারেন যা অন্যের কষ্টের কারণ হতে পারে, তাই রেগে থাকার সময়ে কোনও কথা না বলাই শ্রেয়। ৬। যে কোনও সমস্যারই সমাধান আছে, একটু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করলেই সেটা বের করা যায়। সেটাই চেষ্টা করুন। ৭। নিজেকে নিয়ে বেশি হিসাব করতে গেলে রাগ আরও বাড়বে, তাই তাৎক্ষণিক ব্যাপারটা মেনে নিলে সমস্যা অনেকটা কমে যায়। ৮। রাগ কমাতে অনেকে ধূমপান করেন। অন্য নেশাও করেন। কিন্তু সেটা কোনও পথ নয়। তাতে মনটা আরও বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ৯। রাগ বা টেনশন কমানোর জন্য খানিকটা হাসি ঠাট্টা করা যেতে পারে, তাতে মনটা হালকা হয়ে যায়। ১০। সব থেকে ভাল উপায় হল নিয়মিত মেডিটেশন। এতে শরীরের অন্য উপকারের সঙ্গে সঙ্গে রাগ নিয়ন্ত্রণও হয়।