লজ্জাস্থান অপ্রয়োজনে খুলে রাখা বৈধ নয়। পর্দার ভেতরে প্রয়োজনে তা খুলে রাখায় দোষ নেই। যেমন মিলনের সময়, গোসলের সময় বা প্রস্রাব পায়খানার করার সময়। হাদীসে এসেছে,
حدثنا بهز بن حكيم حدثني أبي عن جدي قال قلت : يا رسول الله عوراتنا ما نأتي منها وما نذر؟ احفظ عورتك إلا من زوجتك أو مما ملكت يمينك فقال الرجل يكون مع الرجل ؟ قال إن استطعت أن لا يراها أحد فافعل قلت والرجل يكون خاليا قال فالله أحق أن يستحيا منه
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক সাহাবীকে বলেছেন, ‘তুমি তোমার স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া অন্যের নিকট লজ্জাস্থানের হেফাজত কর।’ সাহাবী বললেন, ‘হে আল্লাহ্র রাসূল! লোকেরা আপসে এক জায়গায় থাকলে?’ তিনি বললেন, ‘যথাসাধ্য চেষ্টা করবে, কেউ যেন তা মোটেই দেখতে না পায়।’ সাহাবী বললেন, ‘ হে আল্লাহর রাসূল! কেউ যদি নির্জনে থাকে?’ তিনি বললেন, ‘মানুষ অপেক্ষা আল্লাহ এর বেশী হকদার যে, তাকে লজ্জা করা হবে।’ (আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, মিশকাত ৩১১৭ নং)
এখানে ‘তুমি তোমার স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া অন্যের নিকট লজ্জাস্থানের হেফাজত কর’–এর মানে এই নয় যে, স্ত্রী ও ক্রীতদাসীর কাছে সর্বদা নগ্ন থাকা যাবে। উদ্দেশ্য হল, তাদের মিলনের সময় অথবা অন্য প্রয়োজনে লজ্জাস্থান খোলা যাবে, অপ্রয়োজনে নয়।
তাছাড়া উলঙ্গ অবস্থায় ঘুমালে আকস্মিক বিপদের সময় বড় সমস্যায় পড়তে হবে। সুতরাং সতর্কতাই বাঞ্ছনীয়। তবে গোনাহ হবে মর্মে কোনো বক্তব্য আমি পাই নি।