বয়ঃসন্ধি এর পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ বালেগ হওয়ার পর সবার জন্য আল্লাহর হুকুম মানা ফরয হয়ে যায়। এ সময় হতে নামাজ, রোযা ফরয হয়ে যায়।
ছেলেদের জন্য গোফ ওঠা, স্বপ্নদোষ ও বীর্যপাত এবং মেয়েদের জন্য ঋতুস্রাব, স্তনের স্ফীত হওয়া ইত্যাদি দেখা দিলে সে বালেগ বলে গন্য হবে। এগুলো না হলে ১৫ বছর বয়স হতে তাকে বালেগ গন্য করা হবে। (আল ইনায়া শারহুল হেদায়া ৮/২০১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/১৫৩; তাফসিরে কুরতুবি ১২/১৫১)
নাফে (রহ.) হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, উহুদ যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে (সবার সামনে) পেশ করেন, তখন আমি ১৪ বছরের বালক। (ইবনে ওমর বলেন) তিনি [মহানবী (সা.)] আমাকে (যুদ্ধে গমনের) অনুমতি দেননি। পরে খন্দকের যুদ্ধে তিনি আমাকে পেশ করেন ও অনুমতি দেন। তখন আমি ১৫ বছরের যুবক। নাফে (রহ.) বলেন, আমি খলিফা ওমর ইবনে আবদুল আজিজের কাছে গিয়ে এ হাদিস শুনালাম। তিনি বলেন, এটাই হচ্ছে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়সের সীমারেখা। তারপর তিনি তাঁর গভর্নরদের লিখিত নির্দেশ পাঠালেন যে (সেনাবাহিনীতে) যাদের বয়স ১৫ হয়েছে, তাদের জন্য যেন ভাতা নির্দিষ্ট করা হয়। (বুখারি, হাদিস নম্বর- ২৬৬৪, ৪০৯৭; মুসলিম, হাদিস নম্বর- ১৮৬৮)