ফলন্ত কলা গাছের কাণ্ডের মজ্জা, যা কলার থোড় হিসেবে পরিচিত। খাবার হিসেবে উপাদেয় আর পুষ্টিগুণে ভরপুর।
কলা হজমে উপকারী, কলাতে থাকে প্রচুর পটাশিয়াম ও বিভিন্ন ভিটামিন, কলাগাছের মোচা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। আর কলার থোড়ে রয়েছে নানান উপকার।
হজম সহায়ক ও বিষনাশক: কলার থোড়ের শরবত শরীর থেকে বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। মুত্রবর্ধক এই খাবার শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করার জন্য আদর্শ। নিয়মিত অন্ত্র থেকে মল অপসারণ সহজ করতে এবং অন্ত্রে প্রয়োজনীয় ভোজ্য-আঁশ সরবরাহের মাধ্যমে হজমেও সাহায্য করে।
বৃক্কে পাথর ও মুত্রনালীর প্রদাহের চিকিৎসায়: কলার থোড়ের শরবতের সঙ্গে এলাচ মিশিয়ে পান করলে তা মুত্রথলিকে আরাম দেয় এবং বৃক্কে পাথর জমা রোধ করে। কলার থোড়ের শরবতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলেও বৃক্কে পাথর হওয়ার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। মুত্রনালীর প্রদাহজনীত ব্যথা ও অস্বস্তি দূর করতেও এই শরবত উপকারী।
ওজন কমাতে: থোড়ে থাকা আঁশ শরীরের কোষে জমে থাকা শর্করা ও চর্বি নিঃসরণ প্রক্রিয়াকে মন্থর করে। এটি বিপাকক্রিয়া উন্নত করে এবং এতে ক্যালরির পরিমাণও বেশ কম।
কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ভিটামিন বি সিক্স’য়ে ভরপুর এই খাবারে আরো আছে পটাশিয়াম, লৌহ এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপাদান। তাই কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এটি বেশ উপকারী।
অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা তাড়াতে: নিয়মিত অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগলে আপনার উচিত কলার থোড়ের শরবত খাওয়া যা শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে, বজায় রাখে ভারসাম্য। বুক জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি ও পেটব্যথা সারাতেও এটি বেশ উপকারী।