সাধারণ সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ‘ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম’ বা ‘ইলেকট্রনিক সিগারেট’ ব্যবহার করা হয়। সিগারেটের মতই দেখতে ফাইবার বা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এই ব্যাটারিচালিত যন্ত্রগুলির মধ্যে একটি প্রকোষ্ঠ থাকে। তার মধ্যে ভরা থাকে বিশেষ ধরনের তরল মিশ্রণ। যন্ত্রটি গরম হয়ে ওই তরলের বাষ্পীভবন ঘটায় এবং ব্যবহারকারী সেই বাষ্প টেনে নেয় ফুসফুসে, যা ধূমপানের অনুভূতি দেয়। এই পদ্ধতিকে বলে ‘ভ্যাপিং’।
অনেকেই মনে করেন বা বিজ্ঞাপনেও দেখানো হয় ই-সিগারেট ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করে। কিন্তু এখানেই দেখা দিয়েছে বিতর্ক। ক্যানসার বিশেষজ্ঞদের মতে, ই-সিগারেট ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করে এর কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি বরং কোনও কোনও ক্ষেত্রে এর প্রভাব সাধারণ সিগারেটের চেয়েও ক্ষতিকারক বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পশ্চিমা বিশ্ব থেকে শুরু করে তৃতীয় বিশ্বে দেশগুলোতেও গত কয়েক বছর ধরে ইলেকট্রনিক সিগারেটের প্রচলন বেড়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু এই জনপ্রিয়তার পরেও আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, জম্মু-কাশ্মিরে রাজ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশে এখন এই সিগারেট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকারের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরগুলো।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে, ব্যাটারি-চালিত এই ই-সিগারেটগুলো কোন অংশেই সিগারেটের চেয়ে কম ক্ষতিকর নয়। বলা হয়েছে নিয়মিত এই যন্ত্র ব্যবহার করলে ব্যবহারকারী আক্রান্ত হতে পারে উচ্চরক্তচাপ, হার্ট-অ্যাটাক, নিউমোনিয়া, ক্যান্সারের মত ভয়ানক রোগে