উপকরনঃ চিকেন রান্নার জন্যঃ ১। ১ কেজি মুরগি (চিকেন) ২। আদা বাটা দেড় চা চামচ ৩। রসুন বাটা দেড় চা চামচ ৪। ধনিয়া গুড়া ১ চা চামচ ৫। জিরা গুড়া ১ চা চামচ ৬। মরিচের গুড়া ১ চা চামচ ৭। টক দই ২ টেবিল চামচ ৮। গরম মসলা গুড়া (দারচিনি,এলাচ,তেজপাতা) দেড় চা চামচ ৯। জয়ফল জয়ত্রী গুড়া ১/২ চা চামচ ১০। পরিমাণ মতো লবন ১১। পেয়াজ মরিচ বাটা ১/২ কাপ ১২। পেয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ ১৩। তেল ৩ টেবিল চামচ ১৪। ঘি ২ টেবিল চামচ রান্নার পদ্ধতিঃ পেয়াজ কুচি,তেল এবং ঘি ছাড়া বাকি সব উপাদান মুরগীর সাথে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। প্যানে তেল আর ঘি দিয়ে গরম হয়ে এলে পেয়াজ কুচি দিয়ে দিতে হবে। পেয়াজ সামান্য ভেজে মেরিনেট করে রাখা মুরগী সব মসলা সহ দিয়ে দিতে হবে। মুরগী হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে মুরগী নামিয়ে নিতে হবে। রাইসের জন্য উপকরনঃ ১। ১/২ কাপ পেয়াজ কুচি ২।আদা বাটা ১ চা চামচ ৩। রসুন বাটা ১ চা চামচ ৪। পোলাওর চাল ১ কেজি ৫। তেজপাতা ৩ টি ৬। দারচিনি ২ টুকরা ৭। এলাচ ৫ টুকরা ৮। ঘি ৩ টেবিল চামচ ৯। তেল ২ টেবিল চামচ ১০। লবন পরিমানমতো ১১। গরম পানি চালের দ্বিগুণ (চাল যত কাপ হবে,পানি সেই কাপের দ্বিগুণ দিতে হবে। চাল যদি হয় ২ কাপ, পানি দিতে হবে ৪ কাপ) ১২। কেওড়া জল ৪-৫ ফোঁটা ১৩। গোলাপ জল ২-৩ ফোঁটা বিরিয়ানি রান্নার পদ্ধতিঃ প্রথমেই চাল ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। প্যানে তেল আর ঘি দিয়ে তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ দিয়ে নাড়তে হবে কিছুক্ষন। এরপর পেয়াজ কুচি দিয়ে আরও কিছুক্ষন নেড়ে আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে নাড়তে হবে। এরপর চাল দিয়ে দিতে হবে। লবন দিয়ে চাল ভাজতে হবে অনেকক্ষন। চাল ভাজা হয়ে এলে গরম পানি দিয়ে দিতে হবে। পানি ফুটতে থাকলে ঢাকনা দিয়ে চুলা মিডিয়াম আঁচে দিয়ে রাখতে হবে। যখন পানি কমে যাবে,চাল দেখা যাবে, তখন আগে থেকে কষিয়ে রাখা মুরগী গুলো দিয়ে দিতে হবে। প্যানে ঢাকনা দিয়ে চুলা একদম কমিয়ে দিতে হবে। প্রায় হয়ে এলে কেওড়া জল আর গোলাপ জল উপরে ছিটিয়ে দিতে হবে। টিপস ঃ মুরগী রান্নার সময় চেষ্টা করবেন নন স্টিক প্যানে রান্না করতে। তাহলে আর আলাদা পানির প্রয়োজন হবে না। নন স্টিক প্যান না থাকলে ১ কাপের মতো গরম পানি দিন। পুরোটা একবারে না দিয়ে অল্প অল্প করে দিবেন। কারন মুরগী কিন্তু খুব দ্রুত সিদ্ধ হয়ে যায়। বেশি সিদ্ধ হয়ে গেলে গলে যাবে। খেতে গেলে তখন আর মুরগীর টুকরো খুজে পাওয়া যাবে না। চাল ভাজা হয়েছে নাকি তা বোঝার উপায় হচ্ছে চালটা ঝরঝরে হয়ে আসবে। নাড়া দিলে পাতিলে শনশন করে একটা শব্দ হবে। চালে পানি দেওয়ার আগ পর্যন্ত ভাজার সময় ক্রমাগত নাড়তে হবে। সে সময় চাল প্যানে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ক্রমাগত নাড়তে থাকলে আর লেগে যাবে না। হয়ে গেলো মজাদার স্বাদের চিকেন বিরিয়ানি। হুবহু এই রেসিপি ফলো করে রান্না করলে রেস্টুরেন্টের চিকেন বিরিয়ানির চেয়েও মজাদার হবে আপনার রান্না করা বিরিয়ানি। স্বাদে গন্ধে চিকেন বিরিয়ানি অনন্য। ছুটির দিনটাকেই অন্যরকম করে দিবে এই দারুন স্বাদের বিরিয়ানি টি।