ডায়াবেটিস হলে করণীয়: টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের উপায়ঃ ১। দেহের ওজন কমাতে হবে। ২। সুষম খাবার খেতে হবে। ৩। পর্যাপ্ত শরীরচর্চা করতে হবে। ৪। প্রায়শ রক্তের গ্লুকোজ লেভেল মেপে দেখতে হবে। ৫। যেহেতু টাইপ টু ডায়াবেটিস একটি প্রগ্রেসিভ ডিজিজ সেহেতু ধীরে ধীরে এটি প্রকট হয়ে যায়। তাই শেষমেশ ইন্সুলিন ইনজেকশন কিংবা ইন্সুলিন ট্যাবলেট গ্রহন করতে হবে। ৬। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারি করলে তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ডায়াবেটিসের মাত্রা প্রায় ২১% এ কমে আসে। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসঃ এই ধরনের রোগীদের বাকি জীবন ইঞ্জেকশন নিতে হয়। ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণের জন্য রেগুলার ব্লাড টেস্ট করতে হয়। এছাড়া সবসময় স্পেশাল ডায়েট অনুসরন করতে হয়। গ্যাস্টেসেনাল ডায়াবেটিসঃ মহিলাদের গর্ভকালীন সময়ে এই রোগ হতে পারে। এসময় কিছু কিছু মহিলাদের রক্তে গ্লুকোজ লেভেল বেড়ে যায়, পর্যাপ্ত ইনসুলিন উতপন্ন না হওয়ার কারনে দেহের কোষে কোষে গ্লুকোজ পৌছে না, যার দরুন রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজের উপস্থিতিতে এ ধরনের ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। শরীরচর্চা এবং ডায়েট করে গ্যাস্টেসেনাল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ১০%-২০% রোগী কে ওষুধ সেবন করার প্রয়োজন পড়ে। এ ধরনের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করা না হলে জন্ম নেওয়া শিশুর ক্ষতি হয়। শিশুর আকৃতি ও ওজন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি এনিমেল ফ্যাট ও কোলোস্টেরল গ্রহন করলে এর উপস্থিতিতে গ্যাস্টেসেনাল ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে।