নীহারিকা বা নেবুলাকে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। সে আলোচনা এখনো থেমে নেই।নীহারিকা প্রতিনিয়তই সে আলোচনায় যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন তথ্য। মহাকাশের অপার রহস্য দুনিয়ায় নীহারিকার অবস্থান তাই উপরের দিকেই। নীহারিকার অস্তিত্ব নিয়ে জানতে হলে মহাকাশের খুব সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা জানতে হবে। মহাকাশের ধূলিকণা একত্রে মিলিত হয়ে নেবুলা বা নীহারীকার সৃষ্টি হয়। গ্যাস বা ধূলিকণা একত্রে মেঘের মতো দেখতে হয় এ নেবুলা, যা রাতের আকাশে দেখা যায়। গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে ইন্টারস্টেলার ক্লাউড বা মেঘ, হাইড্রোজেন গ্যাস, হিলিয়াম গ্যাস এবং অন্যান্য আয়নিক গ্যাস। এ ছাড়াও রয়েছে প্লাজমা। বেশির ভাগ গ্যাসই প্লাজমা অবস্থায় রয়েছে নীহারিকার মধ্যে। প্লাজমা অবস্থায় থাকার কারণ হচ্ছে উচ্চ তাপ। এ উচ্চ তাপে সব গ্যাসই প্লাজমা অবস্থায় চলে যায়। অথচ বিংশ শতাব্দীর পূর্বে মানুষ জানত না, আকাশগঙ্গার বাইরে তার মতোই অসংখ্য ছায়াপথ রয়েছে। সেই অজানা সময়ে আকাশে ভাস্কর আলোর মেঘের নাম দেওয়া হয়েছিল নীহারিকা।