এশার নামাজ প্রধানত মোট ৬ রাকায়াত।
৪ রাকায়াত ফরজ । এবং তারপর ২ রাকায়াত সুন্নাত। এই ২ রাকায়াত সুন্নাত হল সুন্নাত এ মুয়াক্কাদা। অর্থাৎ বাধ্যাতামূলক সুন্নাত। সুন্নাত এ মুয়াক্কাদা আদায় না করলে এর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তবে ৪ রাকায়াত ফরজ নামাজের আগে ৪ রাকায়াত গায়েরে সুন্নাত এ মুয়াক্কাদা আছে। গায়েরে সুন্নাত এ মুয়াক্কাদা নামায ঐচ্ছিক তবে একেবারে বাদ দেয়া যাবে না। মহানবী মাঝে মাঝে গায়েরে সুন্নাত এ মুয়াক্কাদা নামায পরেছেন। এ সম্পর্কে একটা হাদিসের উল্লেখ করা যেতে পারে
It is narrated that Hz. Aisha said as follow:
“Hz. Prophet used to perform 4 rakahs prayer before isha.” (Zaylaî, Nasbur-Râva, II, 145 vd.; ash-Shavkânî, Naylul-Avtâr, III, 18).
তাহলে এশার নামায মোট ১০ রাকায়াত। প্রথমে ৪ রাকায়াত গায়েরে সুন্নাত এ মুয়াক্কাদা + ৪ রাকায়াত ফরজ + শেষে ৪ রাকায়াত সুন্নাত এ মুয়াক্কাদা ।
অনেকে বেতেরের ৩ রাকায়াত ওয়াজিব নামায কে এশার নামাযের সাথে এক করে ফেলেন।
বেতেরের নামায পরার সময় হল মাঝরাতে। তবে যদি এমন হয় যে মাঝরাতে জাগনা না পাওয়ার সম্ভবনা থাকে তাহলে এশার নামাযের শেষে পরা যাবে। তাই বলে বেতেরের নামায কোনভাবেই এশার নামাযের অংশ নয়।
মনে কোন দ্বিধা থাকলে কোন নিকটস্থ মসজিদ যেখানে একজন বিশেষজ্ঞ খতিব আছেন, তার কাছ থেকে পরামর্শ নিন।