অন্যান্য যেকোনো সময়ের চেয়েও সম্প্রতি সারা বিশ্বে অনেক বেশি আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেক্স বা যৌনতা। যৌনতাকে মানুষের মৌলিক চাহিদাও বলা হচ্ছে। কোনো ব্যক্তির সেক্স বা যৌনতা যদি বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে সেটা ব্যক্তির সৃজনশীলতা, সাবলীলতা এমনকি স্বাস্থ্যের উপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যৌন মিলন দাম্পত্য জীবনে সুখের অনুভূতি এনে দেয়৷ এতে সম্পর্ক এতটাই মধুর হয় যে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে ছেড়ে থাকতে পারেন না৷ এক কথায় বলা যায় সুস্থ স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্কই হল দাম্পত্যের জীবনের সুখের চাবিকাঠি৷
মানুষ সাধারণত তিনটি কারণে যৌন মিলনে লিপ্ত হয়: সন্তান নেওয়ার জন্য, যৌন ক্ষুধা নিবারণের জন্য, এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য। কিন্তু যৌন মিলনের পেছনে অন্য অনেক কারণ রয়েছে। যেমন, বিষণ্নতা কাটানো, ব্যায়াম, কৌতুহল, অথবা সঙ্গির প্রতি আকর্ষণ ও ভালবাসা, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, স্বার্থোদ্ধার ইত্যাদি। আরও একটি বিশেষ কারণ পূর্ব পুরুষের যৌন সংস্কৃতি। যা আমাদের মস্তিষ্কে বহন করে বেরাচ্ছি আদি কাল থেকে।
আর শারীরিক চাহিদা সবচেয়ে বড় কারণ। কারণ বয়ঃসন্ধিকালেই দেহে বিকাশ ঘটে সেকেন্ডারি যৌন বৈশিষ্ট্যের। এ সময় কিশোর-কিশোরীরা অনেক কিছুই জানতে চান। এ সময়ে তারা শুধুমাত্র নিজ দেহের পরিবর্তন নিয়ে উৎসাহিত হয় না, বিপরীত লিঙ্গের মাঝে যে পরিবর্তন হচ্ছে সে সম্পর্কেও কৌতূহলী হয়ে ওঠে। যা তাদের ভবিষ্যত যৌন জীবন নিয়ে আগ্রহী করে এবং তা দিন দিন বাড়তে থাকে।