আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমাদের ব্যবহারই আমাদের শিক্ষা ও পারিবারিক জীবনের পরিচায়ক। শুধুমাত্র সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে একজন মানুষের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন আনা সম্ভব। আপনার অফিসের বড়কর্তা আপনার কাজের প্রশংসা করলে সকালে বাসায় ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঝগড়ার ঘটনা মন থেকে মুছে যেতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু বিষয় মেনে চলতে চেষ্টা করি। নিচের তালিকায় আমার পরামর্শগুলো যোগ করলাম
উঁচু গলায় কথা বলা উচিত নয়। আপনার পাশে বয়স্ক লোকজন থাকতে পারেন অথবা মনোযোগী কোন পাঠক।
-
আপনি পরিচিত কোন মানুষকে অবশ্যই সালাম দিতে পারেন, কুশলাদি জিজ্ঞাসা করতে পারেন
-
অপরিচিত কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া ধর্মীয়ভাবে রীতিসিদ্ধ।
-
দু‘জন মানুষ জরুরী বিষয়ে কথা বলা অবস্থায় হুট করে কোন মন্তব্য করা উচিত নয় যাতে তাদের মনোযোগ নষ্ট হয়। আপনার সুযোগের জন্য অপেক্ষা করুন।
-
বাসে বয়স্কদের, মহিলাদের ও শিশুদের জন্য জায়গা ছেড়ে দিন। কোন যাত্রী কাঁধে ভারী ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে তার ব্যাগটি আপনার কাছে রাখার অফার দিতে পারেন। তবে ব্যাগটি অবশ্যই দৃষ্টিসীমার মধ্যে রাখুন।
-
অযথা তর্কে না জড়িতে ঠান্ডা মাথায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন। কেউ আপনার সাথে অভদ্র আচরণ করলেও তার প্রতি অশ্লীল মন্তব্য ছুঁড়ে দেয়া থেকে বিরত থাকুন। আত্মকেন্দ্রিক না হয়ে সার্বজনীন মঙ্গলের কথা ভাবুন।
ভদ্রতার খাতিরে সহকর্মী, সহযাত্রী কিংবা সহপাঠীর সাথে মুচকি হাসি শেয়ার করুন।
-
যে কোন বিষয়ে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে ভুলবেন না। অবশ্যই আন্তরিকতার সাথে ‘ধন্যবাদ বলুন'