বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক অংশে সাঁওতাল নামক এক আদিবাসী গোষ্ঠী বসবাস করে। এই সব উপজাতিরা অনেক ধরণের দেব-দেবীর পুজা করে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে এই সব দেব-দেবীর মধ্যে সব গুলো কিন্তু ভাল নয়। এর মধ্যে কিছু মাঝে কিছু আছে যারা অপদেবতা। এমনই এক ধরনের অপদেবতার নাম হচ্ছে “গদ্রবঙ্গা” , অনেক সাঁওতাল যার পুজো করে থাকে। এই দেবতার প্রতিবিম্ব বলা হয়ে থাকে বিশেষ এক ধরণের পুতুলকে। পুতুলগুলো সাইজে ২-৩ ফিট এর বেশি হয় না। তাদের চেহারাও ছোট বাচ্চাদের মতো। ওরা বিভিন্ন সাঁওতাল পরিবারেও পালিত হয়ে থাকে। অনেক সাঁওতাল এর বিশ্বাস যে এই দেবতারা তাদের ধন দৌলত বাড়িয়তে দেবে। এ কারণে ওদেরকে তারা লালন, পালন, আর পুজা দেয়। অতীতে নাকি যারাই এ সমস্ত দেবতাদের পালিত হয়েছে তারা অনেক ধনী হয়েছে।
আবার অনেক সাঁওতালরা বিশ্বাস করে থাকেন যে এইসব দেবতারা অন্য বাড়িঘর থেকে স্বর্ণ চুরি করে তা নিজ পালিত ঘরের মালিককে দেয়। তবে এত সহজেই যে তারা মালিককে ধনী করে দেন তা কিন্তু নয়। এর বিনিময়ে তারা যা দাবি করে তা খুবই ভয়ঙ্কর।। স্বর্ণ দেয়ার বদলে এইসব অপদেবতারা যে বাড়িতে পালিত হয়, সেই বাড়ির মালিকের ছোট ছোট ছেলে সন্তানগুলোকে চায়। তারা এইসব ছোট ছেলেদেরকে মেরে ফেলে এবং তাদের আত্মার শক্তি শুষে নিয়ে নিজেরা শক্তিশালী হয়। আর বাড়ির মালিক যদি তাদের এই চাহিদা পূরণ করতে না পারে, তাহলে “গদ্রবঙ্গা” রা খুব রেখে যায় এবং নানান উপায়ে ক্ষতি করে ঐ পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। এসব জানার পরও এখনো সাঁওতাল অনেক পরিবারই ধনী হবার লোভে এইসব অপদেবতা পালন করে আসছে।
যদিও সাঁওতালরা অনেক দিন যাবত এই ধারনায় বিশ্বাস রেখে আসছে, কিন্তু শিক্ষিত মানুষেরা মনে করে থাকেন এই বিষয়টা এক প্রকার কু সংস্থার। গদ্রবঙ্গা নামক এই দেবতার কোণ খমতা নেই মানুষকে ধনী করার কিংবা তাদের সন্তানের আত্মা শুষে নেওয়ার। তবে গদ্রবঙ্গার পুজা করা কিছু কিছু সাঁওতাল পরিবার যে সত্যিই ধনী হয়ে গেছে