প্রিয় গ্রাহক,
আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।
গ্রাহক আপনার বয়স কত ? আপনার প্রস্রাবের পরিমাণ ও রং কেমন হচ্ছে ?
জ্বালাপোড়া এর সাথে কি এই সমস্যা গুলো হয়??
-প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বা
লালচে হয়ে যায়।
-প্রস্রাবে বাজে গন্ধ আসে।
-একটু পর পর প্রস্রাবের বেগ আসে কিন্তু পরিমাণে খুব কম হয়।
-প্রস্রাব করার সময় জ্বালা
পোড়া বা ব্যথা হয়।
-তলপেটে বা পিঠে তীব্র
ব্যথা হয়।
-সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব
অথবা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর
হওয়া।
-বমি ভাব বা বমি হওয়া।
ইউরিন ইনফেকশনে এমন হয় তবে প্রস্রাব পরীক্ষা করা ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না । অনুগ্রহ করে একটি ইউরিন R/M/E পরীক্ষা করবেন ও রিপোর্ট টি লিখে জানাবেন । খুব বেশী সমস্যায় একজন মেডিসিন ডাক্তার দেখাবেন।
কিছু ঘরোয়া উপায়ে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে প্রচুর পানি খেতে হবে। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বা ইউরিন ইনফেকশন হলে কিংবা ঘন ঘন ইনফেকশন হওয়ার
প্রবণতা থাকলে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে জাগার পর প্রস্রাব করতে হবে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। পানির পরিমাণ এত বেশি হওয়া উচিত যাতে দৈনিক কমপক্ষে দুই লিটার প্রস্রাব তৈরি হয় যা দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে প্রস্রাব করতে হবে। কখনো প্রস্রাব আটকে রাখা যাবে না। বাথরুম ব্যবহারের পরে টয়লেট টিস্যু পিছন থেকে সামনের দিকে না এনে সামনে থেকে পিছনের দিকে ব্যবহার করা, যাতে মলদ্বারের জীবাণু মূত্র পথে এসে সংক্রমণ করতে না পারে। প্রতিদিন কম পক্ষে ২ থেকে ৩ লিটার পানি খাওয়া উচিৎ। তাছাড়া তরল জাতীয় খাবার, ইসুপগুলের ভুসি-মিছরির শরবত, অ্যালোভেরার শরবত, আখের গুঁড়, ফলের ফ্রেস জুস, ডাবের পানি বা লেবুর শরবত খেতে পারেন। বাসার বাইরে গেলেও সব সময়
সঙ্গে পানি রাখুন। এক্ষেত্রে
কর্যকরী সমাধান পেতে আরও খেতে পারেন ভিটামিন সি জাতীয় খাবার। ভিটামিন সি
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে। ভিটামিন সি মুত্রথলীকে ভালো রাখে
এবং প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া
ভাব কমাতে সহায়তা করে। আর এই সময়ে ইনফেকশন কিডনিতে ছড়িয়ে
যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ইউরিন ইনফেকশন ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে সারিয়ে ফেলা উচিত।
আশা করি আপনাকে সাহায্য করতে পেরেছি।