বর্তমানে ব্যাটারি খুবই প্রয়োজনীয় পণ্য। এই ব্যাটারির রয়েছে নানা প্রকারভেদ । যেমন –
► এই ব্যাটারীকে প্রথমে ২টা ভাগে ভাগ করা যায়:
১।
প্রাইমারি: তাতক্ষনিক ব্যবহার, চার্জ দেয়া যায়না। ডিসপোজেবল। [এলকালাইন, (জিংক কারবন সবচেয়ে বেশী দেখা যায়, সস্তার কারনে)]২।
সেকেন্ডারি: রিচার্জেবল ব্যাটারি। ব্যবহারের আগে চার্জ করে নিতে হয়।
ব্যাটারি সেল:
ব্যাটারিতে ব্যবহৃত ইলেকট্রোলাইটের উপর নির্ভর করে
১।ড্রাই সেল:
যে গুলোর ইলেকট্রোলাইট পেস্ট বা শুকনো কেমিকেলের থাকে সেগুলো ড্রাই সেল [পেনসিল, লিথিয়াম আয়ন, বাটন সেল ইত্যাদি]।
সুবিধা: রক্ষনাবেক্ষন সহজ, ভেনট টিউব নেই তাই গ্যাস নেই।
অসুবিধা: দামি, চার্জের ব্যাপারে সেনসিটিভ, মান ঠিক না থাকলে ব্যাটারি নষট হতে পারে। চার্জে সময় বেশি লাগে।
২।ওয়েট সেল
যে গুলোর ইলেকট্রোলাইট তরল [ লেড এসিড বা গাড়ির ব্যাটারি] থাকে তা ওয়েট সেল। এগুলোতে ভারি সিসার পাত, এসিড দ্রবনে ডুবানো থাকে।
সুবিধা: কমদাম, মজবুত, শক্তিশালি, সহজপ্রাপ্য
অসুবিধা: চার্জের সময় ক্ষতি কারক গ্যাস নির্গমন হয় তাই ভেন্ট টিউব রাখতে হয়। ইলেক্ট্রোলাইট লেভেল পর্যবেক্ষনে রাখতে হয়। লিক করে এবং আগুন জ্বলতে সহায়ক, ক্ষয়কারক।
আর একধরনের ব্যাটারি হল এজিএম [এবজর্বড গ্লাস ম্যাট] এতে ইলেক্ট্রোলাইট ও সিসা প্লেট এর মধ্যে গ্লাস ম্যাট ব্যবহার করা হয়, ফলে ইলেক্ট্রোলাইট গ্লাস ম্যাট দ্বারা শোষিত হয়।
সুবিধা: রক্ষনাবেক্ষন কম, ভেনটিং এর প্রয়োজন হয়না, চার্জ হয় দ্রুত, যেকোন স্থানে বসানো যায়।
অসুবিধা: ব্যয়বহুল, চার্জের হাই ভোল্ট হলে ব্যাটারি নষ্ট হতে পারে।