অ্যাড্রয়েডে যখন কোনভাবেই ব্যাটারি সমস্যার তেমন কোন ভালো সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না তখন অনেকেই ফাস্ট চার্জিং বা কীভাবে দ্রুত চার্জ করা যাবে স্মার্টফোন- এরকম বিষয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। তাই আজ কিছু টিপস শেয়ার করছি আপনাদের সাথে যার ফলে আপনাদের স্মার্টফোন কিছুটা হলেও দ্রুত চার্জ করতে পারবেন বলে আশা করছি।
সঠিক চার্জার এবং সঠিক কানেক্টর ব্যবহার করুন
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের চার্জিং পোর্টগুলো বর্তমানে ইউনিভার্সাল, কিন্তু তাই বলে সবই যে একই হবে সেটা কিন্তু নয়। কেননা, আপনি যদি দ্রুত চার্জ দিতে গিয়ে আপনার ডিভাইসটি ল্যাপটপের পোর্টের সাথে কানেক্ট করেন তাহলে এটা খুব একটা ভালো হবে না। কেননা, ল্যাপটপের একটি ইউএসবি ২.০ পোর্ট মাত্র ২.৫ ওয়াটের মত সাপ্লাই দিয়ে থাকে, একটি ইউএসবি ৩ পোর্ট দেয় ৪.৫ ওয়াটের মত। আর আপনার ওয়াল চার্জার এর থেকেও বেশি দিয়ে থাকে। ফলে, ল্যাপটপের চাইতে আপনি আপনার ডিফল্ট ওয়াল চার্জারে বেশি সুবিধা পাবেন।
অনেক অ্যান্ড্রয়েড ফোনই স্মার্ট চার্জিং সাপোর্ট করে থাকে যা প্রায় ১৫ ওয়াটের মত সরবরাহ করতে সক্ষম যা একটি স্মার্টফোনকে দ্রুত চার্জ করার জন্য যথেষ্ট। আপনি কোয়ালকমের ওয়েবসাইটে গেলে ফাস্ট চার্জিং ফোনের একটি লিস্ট পাবেন। এর জন্য যে আপনার স্মার্টফোনে কোয়ালকমের প্রসেসর থাকতে হবে তা কিন্তু নয়, কোয়ালকমের পাওয়ার সিস্টেম থাকলেই হবে। তাই আলসেমি না করে একটু চেক করেই আসুন না। অন্যদিকে, আপনার স্মার্টফোন ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে দেখেই যে আপনার ফোনের সাথে দেয়া ওয়াল চার্জারটি আপনার ফোনকে ফাস্ট চার্জ করবে তা কিন্তু নয়। অনেক ক্ষেত্রে এক্সট্রা চার্জিং ডক দিয়ে দেওয়া হয় আবার অনেক ক্ষেত্রে আপনাকেই কিনতে নিতে হতে পারে।
অবশ্য আপনাকে আপনার স্মার্টফোনের সাথে দেওয়া ওয়াল চার্জার ধরে বসে থাকতে হবে না। আপনি চাইলে থার্ড পার্টি ওয়াল চার্জার কিনে ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে চার্জারের আউটপুট ০.৫/১.০ অ্যাম্পিয়ার বেশি কিনলেও ক্ষতি নেই। এক্ষেত্রে ডিফল্টের চাইতে কিছুটা বেশিই সুবিধা পাবেন আপনি।
এয়ারপ্লেন মোড ব্যবহার করুন
আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনটি দ্রুত চার্জ করতে চান তবে স্মার্টফোনের এয়ারপ্লেন মোড ব্যবহার করতে পারেন।
এয়ারপ্লেন মোড যেকোন ওয়্যারলেস রেডিও সিগন্যাল/কানেকশন ব্লক করে রাখে আপনার ডিভাইসে, ফলে এটি চালু থাকা অবস্থায় আপনি কোন কল, মেসেজ, নোটিফিকেশন কিছুই এক্সেস করতে পারবেন না। ফলে, আপনার ডিভাইসটি কিছুটা হলেও দ্রুত চার্জ হবে।
ফোনটি বন্ধ করে চার্জ দিন
হয়তোবা কিছুটা অদ্ভুত শোনাবে কিন্তু ফোন অফ করে চার্জ করলে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন। যেহেতু সেক্ষেত্রে ফোনের প্রায় কোন কম্পোনেন্টই কাজ করছে না তাই এয়ারপ্লেন মোড থেকেও ভালো ফলাফল পাবেন এক্ষেত্রে।
পাওয়ার সেভিং মোড ব্যবহার করুন
প্রতিটি অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ ডিভাইসে পাওয়ার সেভিং মোড রয়েছে। যদি কোনভাবে আপনার ডিভাইসে না থাকে এই মোড তবে আপনি থার্ড পার্টি পাওয়ার সেভিং মোডও ব্যবহার করতে পারেন। পারলে পাওয়ার সেভিং মোড ব্যবহার করুন, এটা অনেক ক্ষেত্রেই আপনার ডিভাইসকে অপটিমাইজ করে যার ফলে ব্যাটারি ড্রেইনও কম হবে এবং কিছুটা হলেও দ্রুত আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি চার্জ হবে।
অপ্রয়োজনীয় ফিচারগুলো বন্ধ রাখুন
প্রয়োজন না হলে আপনার ফোনের ডেটা কানেকশন, ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, এনএফসি, লোকেশন সার্ভিস, জিপিএস বন্ধ রাখুন। কেননা আপনি ব্যবহার না করলেও ব্লুটুথ, ওয়াইফাই সবসময়ই সিগন্যাল রিসিভ করতে থাকে যা ব্যাটারি দ্রুত ড্রেইন করে এবং চার্জ হতেও এক্ষেত্রে বেশি সময় লাগে।
চার্জের সময় মোবাইল ব্যবহার করবেন না
যখন আপনি স্মার্টফোনটি চার্জে দিয়ে রেখেছেন তখন স্মার্টফোন ব্যবহার করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। এটা আপনার স্মার্টফোনের চার্জিং টাইম বৃদ্ধি করবে এবং স্মার্টফোনের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলবে