স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত
সমাজে প্রচলিত একটি ভুল উক্তি হলো- ‘স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত।’ আরও মারাত্মক বিষয় হলো- এ কথাকে হাদিস হিসেবে চালিয়ে দেওয়া। ইসলামি শরিয়ত এমন কথাকে সমর্থন করে না। এমন উক্তির কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।
সমাজে প্রচলিত একটি ভুল উক্তি হলো- ‘স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত।’ আরও মারাত্মক বিষয় হলো- এ কথাকে হাদিস হিসেবে চালিয়ে দেওয়া। ইসলামি শরিয়ত এমন কথাকে সমর্থন করে না। এমন উক্তির কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। এটা কারা আবিষ্কার করেছে, তাও অজানা।অনেক বক্তা কিংবা আলোচক স্ত্রীর প্রতি স্বামীর হক বা স্বামীর আনুগত্য বিষয়ে কথা বলতে যেয়ে ওপরের কথাকে হাদিস হিসেবে পেশ করে থাকেন। কিন্তু এমন শব্দ বা বাক্যে কোনো হাদিসে পাওয়া যায় না। সুতরাং এটাকে হাদিস হিসেবে বলা যাবে না।তবে হ্যাঁ, অনেক হাদিসে স্ত্রীর জন্য স্বামীর আনুগত্য জরুরি। এ বিষয়ক বর্ণনা পাওয়া যায়। মুয়াত্তা মালেক, মুসনাদে আহমাদ, মুসতাদরাকে হাকেমসহ হাদিসের বেশ কিছু কিতাবে বর্ণিত হয়েছে, একবার এক নারী সাহাবি রাসূলের (সা.) কাছে এলেন নিজের কোনো প্রয়োজনে। যাওয়ার সময় হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি স্বামী আছে? তিনি বললেন, জ্বী, আছে। নবীজী (সা.) বললেন, তার সঙ্গে তোমার আচরণ কেমন? সে বলল, আমি যথাসাধ্য তার সঙ্গে ভালো আচরণ করার চেষ্টা করি। তখন নবীজী (সা.) বললেন, হ্যাঁ, তার সঙ্গে তোমার আচরণের বিষয়ে সজাগ থেকো, কারণ সে তোমার জান্নাত বা তোমার জাহান্নাম। -মুয়াত্তা মালেক: ৯৫২; মুসনাদে আহমাদ: ৪/৩৪১ স্বামী-স্ত্রীর একের ওপর অন্যের প্রচুর হক রয়েছে। এ বিষয়ে আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমে মৌলিক নির্দেশনাও প্রদান করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর স্বামীদের যেমন তাদের (স্ত্রীদের) ওপর ন্যায়সঙ্গত হক রয়েছে, তেমনি তাদেরও হক রয়েছে স্বামীদের ওপর।’ -সূরা আল বাকারা: ২২৯
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।ধন্যবাদ