ক্যান্সার প্রতিরোধ – যে খাবারগুলো বেশি বেশি খাবেন
খাবারের তালিকায় যে খাবার গুলো রাখবেন তা হল-
গ্রিন টি
সাইটোক্যামিকেলস নামের এক ধরণের পদার্থ এর উপস্থিত থাকার কারণে নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে স্তন ক্যান্সারের ঝুকি কমে। ভালো মানের গ্রিন টি অর্ডার করুণ খাসফুড অনলাইন শপ থেকেঃ Khaasfood Tea
মাছ
মাছ সব চাইতে ভালো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস, বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ। এই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড সমূহ দেহে ক্যান্সারের সেল গঠন প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী।
রসুন
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় রসুনের অন্যতম প্রধান উপকারিতা হচ্ছে এটি শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে কলোন, স্টোমাক, ইন্টেস্টিনাল, এবং প্রস্টেট ক্যান্সার। রসুন এমন একটি উপকারী ও শক্তিশালী খাদ্য যার আন্টি-বাক্টোরিয়াল ধর্ম শরীরে ক্যান্সার কোষের ছড়িয়ে পড়াকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়।
আদা
আদার অনেক উপকারিতা রয়েছে যেমন – জ্বর, ঠাণ্ডা, হার্টের সমস্যা, কোলেস্টেরল কমানো, আর্থ্রাইটিস সহ ক্যান্সার-এর মত জটিল অসুখ নিরসনে আদা কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ক্যান্সার নিরাময়ের প্রতিষেধক হিসাবে প্রচলিত কেমোথেরাপি থেকে আদা ১০,০০০ গুন বেশি শক্তিশালী মেডিসিন যা শরীরের নির্দিষ্ট ক্যান্সার কোষ গুলো ধংস করতে সাহায্য করে।
হলুদ
মশলার মধ্যে হলুদই ক্যান্সারের সঙ্গে লড়তে আপনার শরীরকে সহায়তা করে। এতে রয়েছে শক্তিশালী কারকিউমিন পলিফেনল নামক পদার্থ। গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত, কারকিউমিন ক্যান্সার সেলের গ্রোথকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কারকিউমিন শরীরে অ্যাপপটোসিস তৈরি করে যা শরীরে ক্যান্সারের জন্ম দেওয়া ক্ষতিকারক সেল মেরে ফেলতে সাহায্য করে। মেলানোমা, ব্রেস্ট ক্যান্সার, ব্রেন টিউমার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার এবং লিউকেমিয়ার মতো ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে হলুদ।
মৌরি
খাওয়ার রুচি বাড়ানোর জন্য প্রত্যেক গৃহস্থ বাড়িতেই মজুত থাকে মৌরি। মৌরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই উপকারী। মৌরিতে রয়েছে অ্যানেটহোল যা ক্যান্সার সেলের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
জিরা
এই মশলাটিও ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জিরায় রয়েছে থাইমোকুইনান নামক এক যৌগ যা প্রস্টেট ক্যান্সারের জন্যে দায়ী সেলের শরীরে ছড়িয়ে পড়া আটকিয়ে থাকে।
কাচাঁমরিচ
যে কোন কাচাঁ মরিচে রয়েছে সাইটোক্যামিকেলস এবং অন্যান্য পুষ্টি, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। মরিচে রয়েছে ক্যাপসাইসিন যা ক্যান্সারের কোষ ধবংস করে।
এছাড়া অর্গানিক নয় এমন খাবার খাওয়া থেকে সতর্ক হওয়া আবশ্যক। ভেজালমুক্ত খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ভেজালযুক্ত খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ভেবেচিন্তে খাবার খেতে হবে যাতে করে নিরাপদ ও সুস্থ জীবনযাপন করা যায়। মনে রাখবেন ক্যান্সার প্রতিরোধ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস দারুণ ভূমিকা রাখে।