আমরা তো অনেক কিছু নিয়ে লেখালেখি বা কথা বলে থাকি। আজ আসুন, একটু ভেবে দেখি ঐ পতিতালয় ও সাধারণ মানুষ এর জীবন নিয়ে।
আগেই মাফ চেয়ে নিচ্ছি যে হইত বা গুছিয়ে লিখতে পারব না
আমরা জানি দেশের সব চেয়ে বড় যৌন পল্লী দৌলতদিয়া এবং ফরিদপুর শহরের রথখোলা যৌন পল্লী। এটা আমরা কম বেশি সকলেই জানি। আর এটাও জানি ওইগুলা সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত। এগুলো ছাড়াও দেশের আনাচে কানাচে রয়েছে অনেক পতিতা পল্লী।দেশের আনাচে-কানাচের কথা বাদ দিলাম,আসুন দেশের অভিজাত শহরের , অভিজাত এলাকার দিকে চোখ দিয়ে দেখি।
এখন অভিজাত পাড়াগুলোতে পাল্লা দিয়ে এই জমজমাট যৌন ব্যবসা চলছে। বহুতল এ্যাপার্টমেন্ট ভবনের কয়েকটি ফ্লোর ভাড়া করে এবং বিভিন্ন গেস্ট হাউসে নিয়মিতই চলছে রাতের জলসা। এর বেশ কিছু চিহ্নিত গেস্ট হাউসকে মিনি পতিতালয় বললেও অতু্যক্তি হয় না। রম্নপালি জগতের উঠতি চলচ্চিত্র তারকা থেকে টিভি মডেলদের অনেকেই এখানে আসেন। এইসব যায়গার মধ্যে ফার্মগেট,বনানী,গুলশান,এয়ারপোর্ট,উত্তারা, এমনকি বাংলাদেশ সংসদ ভবন এলাকা খুবই নাম করা।
সৈনিক ক্লাব থেকে শুরু করে কাকলি সিগনাল পর্যন্ত যতগুলো ভবন আছে তার বেশির ভাগ ভবন গুলোর উপরিতলায় চলে দেহ ব্যবসা।আমি বনানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করি। তাই প্রতিদিন ই কাকলি যাওয়া লাগে।সবচেয়ে লজ্জার বিষয় কি জানেন? আমি যখন ফুট ওভার ব্রিজ টা পার হয়ে নিচে হাটা শুরু করি, ঠিক তখনই কিছু লোক আমার কাছে এসে বলে, মামা লাগবে, ভালো মাল আছে । আমি শুনতে শুনতে অতিষ্ঠ।
সবচেয়ে লজ্জার বিষয় কি জানেন , আমি যখন আমার বাবা বা বড় ভাইয়ের সাথে হেটে যাই, তখন যদি কেও এসে বলে মামা লাগবে, ভালো মাল আছে তখন মন টা চায় ঐ কুত্তার বাচ্চাগুলোকে গুলি কইরা মারি।
পৃথিবীতে এর চেয়ে লজ্জার বিষয় আর কি হতে পারে? আপনি ই বলুন
শুধু বনানীতে না, অন্যান্য যায়গাতে ও একই অবস্থা। যখন ফার্মগেট এ কোচিং করতাম তখন ও ঐ এলাকায় একই কাহিনী দেখা দিয়েছে আমার কানে।মাঝে মাঝে বন্ধুদের নিয়ে সংসদ ভবন এলাকাতে গেলেও ঐ একই ঘটনা।
গুলশান ২ নং এলাকার ৩৫ নম্বর সড়কের একটি গেস্ট হাউস। দোতলার রিসেপশন পার হলে বিরাট হলরুম। বড় সারাউন্ড স্পিকারগুলোতে বিটের তাল এমনিতেই মন-প্রাণ চঞ্চল করে তোলে। সেখানেই মিনি বারে বিয়ার এবং হার্ডড্রিংস বিক্রি হচ্ছে। গস্নাস বা বিয়ারের ক্যান নিয়ে অনেকেই চলে আসছেন ড্যান্স ফ্লোরে। স্বল্প বসনা উচ্চ শিৰিত ঘরের তরম্নণ-তরম্নণীদের ততৰণে উপচেপড়া ভিড়।