প্রথম : ফজরের নামাজে দাঁড়ানো, সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার সমান। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত জেগে নামাজ পড়ল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে পড়ল, সে যেন পুরো রাত জেগে নামাজ পড়ল।’ (মুসলিম)।
দ্বিতীয় : সে দিনের পুরোটা আল্লাহর যিম্মায় থাকার দুর্লভ সৌভাগ্য। ফজরের নামাজ পড়লেই শুধু এ ঈর্ষণীয় সৌভাগ্য লাভ করা যাবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে।’ (মুসলিম)।
তৃতীয় : ফজরের নামাজ কেয়ামতের দিন নূর হয়ে দেখা দেবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘‘যারা রাতের আঁধারে মসজিদের দিকে হেঁটে যায়, তাদের কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ ‘নূর’ প্রাপ্তির সুসংবাদ দাও।” (আবু দাউদ)।
চতুর্থ : দুই শীতল নামাজ তথা ফজর ও আসর আদায়কারীর জন্য জান্নাত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুই শীতল (নামাজ) পড়বে, জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বোখারি)।
পঞ্চম : রিজিকে বরকত আসবে। আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন, সকালবেলার ঘুম ঘরে রিজিক আসতে বাধা দেয়। কেননা তখন রিজিক বণ্টন করা হয়।
ষষ্ঠ : ফজরের নামাজ পড়লে দুনিয়া ও আখেরাতের সেরা বস্তু অর্জিত হয়ে যাবে। ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে, সবার চেয়ে শ্রেষ্ঠ।’ (তিরমিজি)।
সপ্তম : সরাসরি আল্লাহর দরবারে নিজের নাম আলোচিত হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কাছে পালাক্রমে দিনে ও রাতে ফেরেশতারা আসে। তারা আসর ও ফজরের সময় একত্রিত হয়। যারা রাতের কর্তব্যে ছিল তারা উপরে উঠে যায়। আল্লাহ তো সব জানেন, তবু ফেরেশতাদের প্রশ্ন করেন, আমার বান্দাদের কেমন রেখে এলে? আমরা তাদের নামাজরত রেখে এসেছি। যখন গিয়েছিলাম, তখনও তারা নামাজরত ছিল।’ (বোখারি)।
অষ্টম : ফজরের নামাজ দিয়ে দিনটা শুরু করলে, পুরো দিনের কার্যক্রমের একটা বরকতম সূচনা হবে। নবী (সা.) দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য তার সকালবেলায় বরকত দান করুন।’ (তিরমিজি)।
এজন্যই দিনের শুরুটা ভালো কিছু দিয়ে শুরু করা মানেই হলো ফজর নামাজটা পড়া। আরও ভালো হয় যদি তাহাজ্জুদ দিয়ে শুরু করা যায়