490 বার প্রদর্শিত
"ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে করেছেন
বিয়ে করার আগে কী কী বিষয় মেয়ে এবং ছেলের উভয়কে জানা উচিত এবং বিয়ে করার সঠিক বয়স সীমা কত হওয়া উচিত? ?

1 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন Level 6
বিয়ে অাগে উভয়কে যা জানতে হয় :
১.বয়স
বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশি বয়সে বিয়ে হলে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। আবার মেয়েদের বেশি বয়সে বিয়ে হলে সন্তান শারীরিক-মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়াসহ ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেয়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে মেয়েদের ত্রিশ বছরের পর প্রথম বাচ্চা নেয়াটা খুবই ঝুঁকির কারণ হয়ে যায়। তবে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হলেও বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে যায়। অল্পবয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণটা খুবই ঝুঁকির। তাই বিয়ের জন্য ছেলেমেয়ের উভয়ের বয়স বিবেচনা করাটা খুব জরুরি একটি বিষয়।

২.সম্মতি
বিয়েতে ছেলের সম্মতি আছে কি না জেনে নেয়াটা যেমন জরুরী একই ভাবে মেয়ের সম্মতি আছে কি না সে বিষয়ে ছেলেরও জানা দরকার। তবে এ বিষয়ে ছেলে মেয়ের মধ্যে সরাসরি আলাপ হলে ভালো।

৩.আয়ের উৎস
পাত্র ও পাত্রী এর কর্ম ক্ষেত্রে খোজ নিন উপার্জনের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হোন। তিনি কোনও অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত কি না বা তার আয়ের উৎস যথাযথ কি না সে ব্যাপারে খোঁজখবর করুন। অনেক সময় ছেলে কম বেতন পেলেও তা বাড়িয়ে বলা হয়। আবার কর্মক্ষেত্রে পদমর্যাদা ছোট হলে তা-ও গোপন করা হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটতে পারে। বিয়ের পূর্বে নিজের আর্থিক সচ্ছলতার দিকটিও বেশ ভালো করে খতিয়ে দেখা উচিত। আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে খরচের পরিমাণ নির্ধারণ করে নিন। সামাজিক প্রথার সাথে তাল মেলাতে গিয়ে নিজে বেতালে পড়বেন না যেন।
৪.বিশেষ কোন রোগ আছে কি না
আমাদের সমাজে এর তেমন প্রচলন না-হলেও বিয়ের আগেই ছেলে এবং মেয়ের মেডিক্যাল টেস্ট করা জরুরি। এইডস, হেপাটাইটিস বা কোনও যৌন রোগ আছে কি না, তা জানা খুবই দরকার। যাতে তাঁর সঙ্গী সেই রোগে আক্রান্ত না-হয়। তাই বিয়ের আগে অবশ্যই মেডিক্যাল টেস্ট করান।

৫.তার পরিবার
বিয়ের আগে কনে বা পাত্রের পরিবার সম্পর্কেও খোঁজখবর করা জরুরি। পারিবারিক প্রেক্ষাপট পারিবারিক মেডিক্যাল হিস্ট্রি। কেননা বিশেষ কিছু রোগ বংশগতির মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মে বিস্তার করে। এর মধ্যে রয়েছে থ্যালাসেমিয়া, মাসকুলার ডিসট্রফি (মাংসপেশীতে একধরনের দুর্বলতা), স্নায়ুর বিশেষ কয়েকটি অসুখ, (মৃগী রোগ), অ্যাজমা, গ্লুকোমা ইত্যাদি। এসব রোগের যাবতীয় পরীক্ষা বিয়ের আগেই করে নেয়া উচিৎ। আর সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন বিয়ে পরবর্তী সতর্কতা বিষয়ে।

৬.ব্লাডগ্রুপ
স্বামীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোনো একটি হলেই হবে। কিন্তু স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয়, তাহলে স্ত্রীকেও পজেটিভ ব্লাড গ্রুপের একজন হতে হবে। কোনোভাবেই স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হওয়া চলবে না। অর্থাৎ একজন নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের নারী কেবলই একজন নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের পুরুষকে বিয়ে করাই নিরাপদ।

৭.পরিকল্পনা আলোচনা করে নিতে পারেন
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনা করুন। এতে বিয়ের পরে সংসার, ক্যারিয়ার ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা কম হবে। এমনকি বাচ্চা কবে নিতে চান এ ব্যাপারেও কথা বলুন। এছাড়াও আপনারা বিয়ের পর যৌথ পরিবারে থাকবেন, নাকি আলাদা থাকবেন, তাও বিয়ের আগে আলোচনা করে নিশ্চিত হয়ে নিন।

এখন অাসা যাক বিয়ের বয়স কত হওয়া দরকার তা জানা :
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিয়ের ক্ষেত্রে পুরুষের জন্য কমপক্ষে ২১ বছর, আর নারীর জন্য ১৮ বছর করা হয়েছে। এর কম বয়সে বিয়ে করাকে আইনি সমর্থন দেওয়া হয় না এবং তা ‘বাল্যবিবাহ’ হিসেবে পরিগণিত হয়।
করেছেন Level 6
খুব সুন্দর উত্তর।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
0 টি উত্তর
12 মার্চ 2020 "যৌন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন sahed Level 1
1 উত্তর
05 জানুয়ারি 2019 "যৌন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asif Shadat Level 7
2 টি উত্তর
21 ফেব্রুয়ারি 2018 "যৌন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Md tushar Level 6
1 উত্তর
12 এপ্রিল 2021 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ainul Level 2
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...