শীতকাল এলে চুলকানি বা খোশ-পাচড়া বেড়ে যায়। নিম পাতা এই খোশ-পাচড়া দূর বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাহলে আসুন জেনে নেই এই নিম পাতার কি কি গুণ রয়েছে।
নিম গাছে ওষুধী গুণের শেষ নেই। খোশ-পাচড়া, চর্ম রোগ থেকে শুরু করে ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এডিস মশা তাড়ানো পর্যন্ত নিম গাছের ফুল, ফল ও পাতা দিয়ে সম্ভব। নিম গাছের ব্যাপক উপকারীতার কারণে দু’দশক আগে নতুন বাড়িতে নিম গাছ লাগানোর রেওয়াজ ছিল। নিম গাছ দ্রুত বাড়ে। রোপণ করা যায় ৪/৫ বছরের মধ্যেই। এই গাছ থেকে পাতা এবং ছাল সংগ্রহ করা যায়।
নিম গাছের পাতা-ছাল বেটে লাগালে খোস-পাচড়া ভালো হয়। এই গাছের ফুল, পাতা ও ছাল প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করলে চর্ম রোগ ও যৌন রোগে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
যাদের মুখে বরন আছে, তারা যদি নিয়মিত প্রতিদিন অন্তত একবার নিম পাতা বেটে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখেন তাহলে মুখের বরন দূর হবে এবং মুখের ত্বক সুন্দর হবে।
এছাড়া নিম গাছ বহুমুত্র (ডায়াবেটিস), রক্তের বিকৃতি, কাশি, কৃমি, কুষ্ঠ, পিত্ত ও যকৃতের রোগ নিবারণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিম গাছের পাতা এনে ঘরে রেখে দিলে ঘরের ওই স্থানে মশা প্রবেশ করে না।
নিম গাছের পাতা শুকিয়ে খোলায় ভেজে গুড়ো করলে তা একটি ভালো দাঁতের মাজন। নিম পরিবারের অপর সদস্য রোরানিম গাছের মূল, ছাল, ফুল, বীজ ও পাতা থেকে পাওয়া তেল কোষ্ঠ পরিষ্কার এবং কৃমি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। নিম পাতা দিয়ে পানি গরম করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের বাত-ব্যথা ও চুলকানি নিরাময় হয়। নিম গাছের ছায়াও স্বাস্থ্যকর। নিম ফুলের গন্ধ পোকা দমনে সহায়ক। এই কারণে বাসগৃহের আশে-পাশে এই গাছ লাগানো হয়ে থাকে।
এখন আধুনিক যুগ আসায় নিম পাতার সেভাবে ব্যবহার হয় না। কিন্তু যদি আমরা এসব নিম পাতার ব্যবহার করি তাহলে আমাদের পারিপার্শ্বিক অনেক অসুখ থেকে আমরা রেহায় পাবো। আসুন আমরা নিম পাতা ব্যবহার করে রোগ-বালাই থেকে নিজেদের মুক্ত রাখি এবং সুস্থ্য-সুন্দর জীবন-যাপন করি।