কালো ঠোট ফরসা করার উপায়।
ঠোট জোড়া মসৃণ, নরম ও টুকটুকে গোলাপি রাখতে সঠিক যত্ন নিতে হবে। সাধারণত ঠোটের আদ্রতা হারিয়ে গেলে তা শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। ঠোঁট ফাটার প্রধান কারণ হল ডিহাইড্রেশন, ধূমপান, ঠোটে সরাসরি সাবান ব্যবহার করা, ভিটামিন এ, বি, সি এর অভাব এবং সূর্যের অতিরিক্ত প্রভাব। সুন্দর ঠোঁট পাবার জন্য কিছু টিপস- ১। গোলাপের পাঁপড়ি পেস্ট করে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট নরম ও গোলাপি হবে। ২। এক সপ্তাহ রাতে শোয়ার সময় নারকেল তেল, চন্দনবাটা ও গোলাপজল এক সঙ্গে মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁট নরম থাকবে। ৩। শসার রস ঠোটে লাগালেও উপকার পাবেন ৪। ডালিম ফুল নিয়ে তা থেকে তার তেল বের করে নিন। এই তেল ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের স্বাভাবিক রং ফিরে আসবে। ৫। নরম, সুন্দর, মসৃণ ঠোঁট জন্য ভাল কোন লিপ বাম অবশ্যই ব্যাবহার করবেন। এটি আপনার ঠোঁটের আদ্রতা রক্ষা করবে ও ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে। ৬। বাইরে যাওয়ার আগে লিপস্টিক ব্যাবহার করতে ইচ্ছা করতেই পারে। নিয়মিত লিপস্টিকের ব্যাবহারে আপনার ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে। তবে যথাযথ লিপস্টিকও কিন্তু ঠোঁটের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। তবে এক্ষেত্রে লিপস্টিকের উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।সব সময় খেয়াল রাখবেন আপনার লিপস্টিক বা লিপগ্লস যেন ভাল ব্র্যান্ডের হয়। ভিটামিনসমৃদ্ধ ও অয়েলবেসড লিপস্টিক ঠোঁটের জন্য ভালো। তবে লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁটের ক্ষতি হলে সঙ্গে সঙ্গে তা ব্যবহার বন্ধ রাখুন। ৭। লিপস্টিক করার পূর্বে ঠোঁটে সামান্য পাউডার দিয়ে নিন। ৮। ঘুমাতে যাওয়ার আগে সব সময় আপনার ঠোঁটের লিপস্টিক বা লিপ গ্লস ক্লিন্সিং মিল্ক দিয়ে তুলে ফেলুন। এরপরে ভাল কোন লিপ বাম ব্যবহার করুন। ৯। ধুমপান ঠোঁটের ত্বকের ক্ষতি করে ও কালচে ভাব আনে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।