বর্ষার এই মৌসুমে জ্বর চারদিকে খুব ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই জ্বরকে খুব একটা আমল দিতে চান না। কিন্তু জেনে রাখুন, জ্বর নিজে অসুখ না হলেও আসলে কিন্তু অসুখের লক্ষণ। তাই জ্বর হলে হেলাফেলা মোটেও চলবে না। জ্বরের মাঝে অনেক বেশি কাজে দেয় ঘরোয়া পথ্য ও সেবা। চলুন জেনে নেই এমন কিছু খাবারের কথা, যেগুলো জ্বরের মাঝে অত্যন্ত উপকারী।
আদা দিয়ে তৈরি চা
চা অথবা গরম জলে লেবুর সঙ্গে মিশিয়ে আদা কুচি খেতে পারেন। এটি ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশনের সঙ্গে লড়াই করে। এছাড়াও আদা বা চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কে স্ট্যেমিনা প্রদান করে। ফলে শরীরের দুর্বলতা লাঘব হয়।
চিকেন স্যুপ আদর্শ খাবার
জ্বরের মাঝে চিকেন স্যুপ একটি আদর্শ খাবার। এটি শুধু জ্বর সারাতেই নয়, শরীরের বল যোগাতেও সহায়ক। বেশি করে আদা ও গোল মরিচ দিয়ে পান করুন চিকেন স্যুপ। অনেকেই জ্বরের মধ্যে মুখের রুচি খুজে পান না। ফলে তারা কোন ধরনের খাবার খেতে পারেন না কিংবা খেতে গেলেই বমি বমি ভাব হয়। তাদের জন্য এই সময়ে খাবারের বিকল্প হতে পারে চিকেন স্যুপ।
তুলসীপাতার ভেষজ গুণাগুণ
আমাদের দেশের অন্যতম এই পরিচিত গাছটি জ্বর মোকাবেলায় অত্যন্ত কার্যকর। ১ চা চামচ জিরা এবং ৪-৬টা তুলসীপাতা এক গ্লাস পানিতে নিয়ে সিদ্ধ করে সেখান থেকে প্রতিদিন দুইবার ১ চা চামচ করে খেলে জ্বর দ্রুত কমবে। তুলসী পাতার ভেষজ গুণাগুণ জ্বরের বিরুদ্ধে কাজ করে।
বাজারে থাকা মৌসুমি ফলমূল
বর্ষার এই সময়টায় বাজারে পাওয়া যায় প্রচুর ফলমূল। মৌসুমী এই ফলগুলো খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি ভেষজ গুণাগুণ সমৃদ্ধ। মৌসুমি ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেনট, যেগুলো জ্বর থেকে দ্রুত সারিয়ে তোলে।
চালের সুজি আর সবজি
পুর্বেই বলেছি জ্বরের সময় অনেকের খাবারের প্রতি রুচি চলে যায়। ফলে তারা খাবার খেতে পারেন না। তাই জ্বরের সময় আরেকটি উপকারী খাবার হলো চালের সুজি, সঙ্গে সামান্য আদাকুচি ও সিদ্ধ করা সবজি।
তাছাড়া জ্বরে আক্রান্ত রোগীর জন্য কিশমিশ একটি উপকারী খাবার। কিশমিশে আছে ভিটামিন-সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। অন্যান্য যে খাবারগুলো জ্বরের মধ্যে বেশ ভালো কাজ করে জ্বরকে দ্রুত নিরাময় করতে তার মধ্যে রয়েছে শিং ও মাগুর মাছের ঝোল। জ্বর মাঝে দ্রুত সুস্থ হতে ও শক্তি ফিরে পেতে দেশি শিং ও মাগুর মাছের ঝোল একটি আদর্শ খাবার।