চোখ আমাদের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ সময়ই চোখের যত্ন নেয়ার প্রয়োজন বোধ করি না। কোনো সমস্যা না হওয়া পর্যন্ত আমরা চোখের ডাক্তারের কাছে যাই না।
কিন্তু চোখের সুস্থতায় ছয় মাসে অন্তত একবার ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকআপ করানো উচিৎ। এমন অনেক ভুল আছে যেগুলো আমরা না জেনেই করছি আর ক্ষতি করছি নিজের চোখের। এর বদলে ঠিক কাজগুলোকে অভ্যাস হিসেবে তৈরি করে নিতে পারলে চোখের অনেক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হবে।
সূর্যের আলো থেকে চোখকে রক্ষা না করা:
সূর্যের আলো চোখের জন্য ভালো হলেও, অতিরিক্ত এবং তীব্র আলো চোখের জন্য অনেক খারাপ। সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি চোখের জন্য অনেক ক্ষতিকর। যখনই ঘর থেকে বের হবেন অবশ্যই সানগ্লাস পরবেন।
কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের ভুল ব্যবহার:
যারা কম্পিউটার বেশি মাত্রায় ব্যবহার করেন তারা স্ক্রিন থেকে চোখের দূরত্ব অন্তত ১.৫ থেকে ২ ফুট রেখে তাকাবেন। মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষত্রেও সতর্ক রাখুন। খুব কাছ থেকে কোন জিনিসই দেখবেন না। এতে চোখের পেশীর ওপর অনেক চাপ পড়ে।
চশমা এবং সানগ্লাসের কাঁচ নোংরা:
ধুলো পড়া কাঁচ কিংবা কাঁচের ওপর দাগ পড়া চশমা এবং সানগ্লাস ব্যবহার করবেন না। কারণ এতে আপনার চোখের দেখায় সমস্যা হয় বিধায় চোখের ওপর চাপ পড়ে বেশি মাত্রায়। তাই চশমা এবং সানগ্লাসের কাঁচ পরিষ্কার রাখুন।
অপরিছন্ন হাত:
অনেকেরই মনের অজান্তেই হাত দিয়ে চোখ ঘষে ফেলার অভ্যাস আছে। এই অভ্যাসটি চোখের জন্য অনেক খারাপ। এতে করে হাতে থাকা জীবাণু চোখের সংস্পর্শে এসে রোগের সৃষ্টি করে। এই অভ্যাস দূর না করতে পারলে অবশ্যই হাত পরিষ্কার রাখার অভ্যাস তৈরি করুন।
চোখে পানির ঝাপটা না দেয়া:
বাইরে থেকে ঘরে ফিরে অথবা দিনের বেলায় যখনই সময় সুযোগ পাবেন তখনই ঠাণ্ডা পানির ঝাপটায় চোখ ধুয়ে নিন। এতে চোখের ধুলো-বালি ও জীবাণু দূর হবে। চোখ থাকবে সুস্থ।
ভিটামিন এ যুক্ত খাবার না খাওয়া:
চোখের জন্য ভালো খাবার যেমন ভিটামিন এ যুক্ত হলুদ কমলা ফলমূল অ সবুজ শাকসবজি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখবেন। এছাড়াও ছোট মাছ খাবার অভ্যাস তৈরি করুন।
একটানা তাকিয়ে থাকা:
একটানা তাকিয়ে থাকা চোখের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এতে চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে আসে। ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলবেন। এতে চোখের পেশীর আড়ষ্টতা দূর হবে।
ধূমপান:
সিগারেট ও তামাকের নিকোটিন চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বেশি মাত্রায় এবং নিয়মিত নিকোটিন শরীরে প্রবেশ করলে চোখের দৃষ্টি শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। ধূমপানের কারনে অন্ধও হয়ে যেতে পারেন। সুতরাং ধূমপান ত্যাগ করুন।
নিয়মিত চেকআপ না করানো:
সমস্যা হলেই ডাক্তারের কাছে যাওয়ার মনোভাব দূর করুন। মাসে অন্তত একবার চোখের চেকআপ করুন। কারন অনেক সময়ই সামান্য ক্ষতি ধরা পরলে চিকিৎসায় সেরে ফেলা যায়। কিন্তু আপনার অবহেলায় সামান্য ক্ষতি বড় আকার ধারন করলে চিকিৎসা অনেক সময় সম্ভব হয় না।