১) ঘন ঘন পিন নম্বর বা পাসওয়ার্ড বদলান--পিন নম্বর মাঝেমাঝেই পাল্টে ফেলুন। পিন নম্বর একটাই থাকলে তা কিছুটা ঝুঁকির তো বটেই। তবে পিন নম্বর বদলানোর থেকেও জরুরি হল সেই নম্বরটা গোপন রাখা। অনেকেই আছে পিন নম্বর ফোনে ড্রাফট হিসেবে সেভ করে রাখেন। ফোন চুরি হয়ে গেলে বা খোয়া গেলে তখন খেয়াল থাকে না, যে পিন নম্বরটা আপনি ফোনেই রেখেছেন। তাই সাবধান।
২) যে এটিএম কাউন্টারে দুজন বা তার বেশি গ্রাহক ঢুকতে পারেন সেখানে সতর্ক থাকুন– অনেক এটিএম কাউন্টারেই একাধিক মেশিন থাকে। সেইসব এটিএম কাউন্টারে আপনার কাজ করার আগে সাবধান থাকুন। অনেক সময় আপনার অসাবধানতায় পাশের মেশিনের কেউ পিন নম্বর জেনে ফেলতে পারে। এটিএম থেকে টাকা তোলার সময় এটিএম যন্ত্রটির সামনে এমনভাবে দাঁড়ান যাতে কিপ্যাড আপনার শরীর দিয়ে ঢেকে যায়, প্রয়োজনে অন্য হাত দিয়ে ঢেকে পিন নম্বরটি টাইপ করুন, যাতে সিসিটিভি ক্যামেরাতেও আপনার হাতের আঙুল নাড়ানো দেখে পিন নম্বরটি আন্দাজ না করা যায়।
৩) এটিএমে কোনও সমস্যা হলে অবশ্যই নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্য নিন, কিন্তু কোনওভাবেই পিন নম্বর বলে বসবেন না–আপনি হয়তো এটিএম কাউন্টারে কোনও সমস্যায় পড়লেন। মেশিনটা ব্যবহারে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে হয়তো নিরাপত্তারক্ষী বা অন্য কারও সাহায্য চেয়ে বসলেন। তাকে হয়তো আসল পিন নম্বরটাই বলে ফেললেন, এমনটা করতে যাবেন না। পিন নম্বর অত্যন্ত গোপনীয়।
৪) এটিএম-এ কোনও সমস্যা হলে অবশ্যই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন–কার্ড ক্লোনিংয়ের মতো হাইটেক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে প্রতা রকরা। একটু সতর্ক থাকলে এসব রোখা সম্ভব। কোনও সন্দেহ হলেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। টাকা তোলা, জমা, ব্যালেন্স জানার মত গুরুত্বপূর্ণ হল এটিএম কাউন্টারে প্রতারণা রোখা।
৫) এটিএম ব্যবহারের সাধারণ নিয়মগুলি মেনে চলুন–এটিএম ব্যবহারের সাধারণ নিয়মগুলি মেনে চললে অনেক প্রতারণা রুখে দেওয়া সম্ভব। এই যেমন-ক্যানসেল বোতাম টাকা তোলা হয়ে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে আসবেন না। ৩০-৪০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। তারপর ‘ক্যানসেল’ বোতামটি টিপে তারপর এটিএম থেকে বেরিয়ে আসুন। মনে করে আপনার ডেবিট কার্ডটি নেবেন। কিংবা কেউ মাথা ঢাকা বা হেলমেট পড়ে এটিএম কাউন্টারে ঢুকলে তাকে সতর্ক করুন।