অতি চাঞ্চল্য, জেদী ও আক্রমণাত্মক আচরণ, অহেতুক ভয়ভীতি, খিঁচুনী ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য একজন অটিস্টিকের থাকতে পারে। অটিজমে আক্রান্তদের আচার-ব্যবহার এবং সংবেদন পদ্ধতি অন্যদের চেয়ে অনেক আলাদা হয় এবং আক্রান্তদের মধ্যেও থাকে অনেক পার্থক্য। শব্দ, আলো, স্পর্শ ইত্যাদির প্রতি অটিস্টিকদের আচরণ সাধারণদের থেকে বেশ পৃথক ও অদ্ভুত। শারীরিক দিক দিয়ে অটিস্টিক সাথে সাধারণদের কোন পার্থক্য করা যায় না। অবশ্য মাঝে মাঝে শারীরিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সাথে অটিজম একসাথে আসে। অটিস্টিকদের মস্তিষ্কের আকৃতি সাধারণের চেয়ে বড় হয়ে থাকে, তবে এর প্রভাব সম্বন্ধে এখনও সঠিক কিছু জানা যায় নি।
এক এক জন অটিস্টিকের এক একধরনের বৈশিষ্ট্য থাকে। নিচের প্রধান কয়েকটি বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলঃ
একই কাজ বার বার করা। নিষেধ করলে আরো বেশি করে করা।
জিনিস পত্র ছোড়া বা ভেঙ্গে পেলা।
নিজের কাজে আত্ম নিয়োজিত থাকা। কেউ ডাকলে সাড়া না দেওয়া।
কারো ডাকে সাড়া না দিয়ে ভেংচি কাটা।
দূরে দূরে থাকতে চাওয়া বা সবার সাথে মিশতে না চাওয়া।
নিজের পরিবেশের পরিবর্তন করতে না দেওয়া। এক জায়গায় থাকতে পছন্দ করা।
যা চায় তা না পেলে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা বা খিঁচুনি উঠা।
অসংলগ্ন চলাফেরা করা।
একটা কিছু নিয়ে লেগে থাকা।
কোন কিছু না পারা পর্যন্ত করতে থাকা।
আরো অনেক সমস্যা নিয়ে অটিজম রোগীরা জীবন যাপন করে। অনেকেই মনে করে এসব বৈশিষ্ট্যগুলো শিশুদের ইচ্ছে বা মনের খেয়াল। তাই অনেকে শিশুদের সাথে খারাপ আচরণ করে। তাই যারা এমন অস্বাভাবিক আচরণ করে তাদের দ্রুত কোন স্নায়ু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। কারন অটিজম কোন রোগ প্রতিবন্ধকতা নয়। একটু সচেতনতা আর ভালোবাসা পারে একজন অটিস্টিকের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে।