অনেক ছাত্রকে বলতে শোনা যায়, পড়াতে গিয়ে বা তারবিয়াত করতে গিয়ে শিক্ষক যদি ছাত্রকে প্রহার করেন তাহলে শরীরের যে স্থানে প্রহার করা হয়েছে ঐ স্থান জান্নাতে যাবে বা জাহান্নামে যাবে না। একথার আদৌ কোনো ভিত্তি নেই।
কাউকে শিক্ষক প্রহার করলে হয়ত সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য তার হিতাকাঙ্ক্ষী অনেকেও একথাটি বলে যে, শিক্ষক প্রহার করলে মন খারাপ করার কিছু নেই। কারণ, শিক্ষক ছাত্রকে শরীরের যে স্থানে আঘাত করবে তা জান্নাতে যাবে বা জাহান্নামে যাবে না।
উদ্দেশ্য ভালো হলেও এটি একটি ভিত্তিহীন কথা। তবে কোনো শিক্ষক যখন পড়ার কারণে বা আদব শিক্ষা দিতে গিয়ে ছাত্রকে প্রহার করেন এটা তিনি ছাত্রের ভালোর জন্যই করেন। সুতরাং ছাত্রের উচিত মাথা পেতে তা গ্রহণ করা। জিদ না করে যে কারণে তাকে প্রহার করা হয়েছে তা শুধরে নেওয়া।
এখন উস্তায বা পিতা-মাতা কতটুকু প্রহার করতে পারেন কিংবা কখন পারেন কখন পারেন না ইত্যাদি ভিন্ন আলোচনা। শরীয়তে এর মূলনীতি রয়েছে।
তবে এর মানে এ নয় যে, ভুল কথা বলে তাকে সান্ত্বনা দিতে হবে ।