এমন দেশ কোথাও খুঁজে পাওয়া
যাবে না যেখানে কারো কোনো
টেনশন নেই। এখন
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন
জাগতে পারে টেনশন থেকে
পরিত্রাণের কি কোনো পন্থা
আছে? এ ক্ষেত্রে বলা যায়,
টেনশন সৃষ্টির কারণগুলো
দূর করা গেলে এ থেকে মুক্তি
পাওয়া সম্ভব। আসলে টেনশন
কোনো দীর্ঘমেয়াদি ব্যাধি
নয়। এটি হলো একটি সামগ্রিক
মানসিক অবস্থা। জীবনের
সমস্যাসঙ্কুল চলমান
পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ
খাইয়ে চলতে গিয়ে এক টেনশন থেকে
আর এক টেনশনের সৃষ্টি হয়।
এখন এ টেনশন উপশমের জন্য
যেসব বিষয় সহায়তা করে থাকে
তা নিচে আলোচনা করা হলো।
সময়ের মূল্যায়ন আজকাল
মানুষ বিভিন্ন কাজ ও পেশায়
ব্যস্ত। যার ফলে তাদের
সময়ের চাকার সঙ্গে তাল
মেলাতে বেশ কষ্ট ও অসুবিধা
হয়। তাই সময়কে নির্দিষ্ট
কাজের জন্য পরিকল্পনা
অনুযায়ী ভাগ করে নির্ধারিত
সময়ে সম্পন্ন করলে টেনশন
অনেকাংশে লাঘব হয়ে যাবে। এ
কথা মনে রাখতে হবে যে, সময়কে
ভাগ করে সময়ের কাজ সময়ে শেষ
করার অভ্যাস গড়ে তুলতে
হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্য
পরীক্ষা করা
স্বাস্থ্যসম্পর্কিত
উৎকণ্ঠা অনেক সময়ে মানুষের
মধ্যে টেনশনের উদ্রেক করতে
পারে। কাজেই নিয়মিত
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে
ব্যক্তি তার স্বাস্থ্য
সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হতে
পারে এবং স্বাস্থ্যগত
নিশ্চয়তা টেনশন কমানোর
ব্যাপারে সহায়ক হবে।
বাস্তববাদী হওয়া যে কোনো
ঘটনা বা ভবিষ্যতে কী হতে
পারে এ আশঙ্কায় অনেকে অযথা
উৎকণ্ঠিত ও চিন্তিত হয়ে
পড়েন। এ ক্ষেত্রে এ কথা মনে
রাখতে হবে জীবন মানে কিছু
সমস্যা থাকবে এবং এমন কিছু
ঘটনা ঘটতে পারে যা জীবনে
কাম্য নয়। তবে এও ঠিক,
সবকিছুর সমাধান রয়েছে ও সময়ে
সব ঠিক হয়ে যায়। কাজেই
বাস্তব পরিস্থিতি মেনে
নিয়ে তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে
চলার মানসিকতা গ্রহণ করতে
হবে। ফলে কিছুটা টেনশন কমে
যাবে। মনের কথা খুলে বলা
মানুষ ব্যক্তিগত কিছু কথা
তার বিশ্বাসভাজন
ব্যক্তির কাছে প্রকাশ করে
হালকা হতে বা প্রয়োজনবোধে
তার সৎ পরামর্শ নিয়ে
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তার
কাজের জন্য উৎসাহ-
উদ্দীপনা ও যৌক্তিকতা
খুঁজে পাবে। ফলে তার
দুশ্চিন্তার নিরসন হতে
পারে।নিয়মানুবর্তিতা পালন
করা নিয়মমতো কাজ সম্পাদন
করার অভ্যাস গড়ে তুলতে
হবে। কেননা অনিয়ম,
ত্রুটিপূর্ণ ও অগোছালো
কাজ কখনো সুন্দর ও
সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা
সম্ভব হয়ে ওঠে না এবং এর
থেকেই উৎপত্তি হয় এ
টেনশনের। কাজেই নার্ভাস না
হয়ে নিয়ম-নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ
করলে আর টেনশন থাকে না।না
বলতে শিখুন শুধু না বলতে না
পারার কারণেই বহু অপরাধ,
অন্যায়-আবদার, আদেশ থাকে