ভিনদেশ থেকে এসে কোনো ভূখন্ড দখল করা প্রাচীন ও মধ্যযুগে স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। বাংলার হিন্দু ধর্মাবলম্বী সেন, মুসলিম এবং ইংরেজরা সবাই বাংলার মূল ভূখন্ডের বাইরের অধিবাসী ছিল। কিন্তু সেন এবং ইংরেজদের সাথে মুসলিমদের কিছু মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান ছিল। যেমন-
১। সেন এবং ইংরেজরা এ ভূখন্ডের সাধারণ অধিবাসীদের উপর ব্যাপক অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছিল। অন্যদিকে মুসলিমদের আগমণের ফলে এ ভূখন্ডের সকল স্তরের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষ অত্যাচার জুলুমের কবল থেকে রেহায় পেয়েছিল। বাংলার স্বর্ণযুগ ছিল মুসলিম শাসিত আমল।
২। ইংরেজরা এভূখন্ডের সম্পদ লুটপাট করে, কৃষক,তাঁতি,কারিগরদের রক্ত চুষে ইংল্যান্ডকে সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তোলে। অন্যদিকে মুসলিমরা এভূখন্ডকে গড়ে তুলেছে। মুসলিম শাসনামলেই ঢাকা ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী এক নগরী। মসলিন, রেশম, মশলা ইত্যাদির খ্যাতি ছিল জগৎজোড়া। মুসলিমরা এভূখন্ডের সম্পদ লুটপাটও করেন নি, এভূখন্ড ছেড়ে চলেও যাননি। মুসলিমদের শাসকদের সমাধিগুলো ভারতবর্ষেই ছড়ানো ছিটানো রয়েছে।
অথচ বর্তমানে মুসলিমদের ভিনদেশী দখলদার সাব্যস্ত করে এ ভূখন্ডে মুসলিমদের বহিরাগত বলার চেষ্টা করা হচ্ছে। যে ভূখন্ডকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছে মুসলিমরা সেই ভূখন্ডে মুসলিমদের বসবাসের কোনো অধিকার নেই এমন বয়ান প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা চলছে। // একই সাথে যারা লুট করে নিয়ে গেলো, জুলুম করলো তাদের আইন, দাসত্ব আজো বাঁচিয়ে রেখেছে এই অপচেষ্টাকারীরা ।