না, এটি সত্য নয়। এ ধরনের কোনো হাদিস সাব্যস্ত হয়নি। হাফেজকে মূলত আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কেয়ামতের দিন যে মর্যাদা দেবেন এ মর্মে হাদিস সাব্যস্ত হয়েছে। হাফেজকে মর্যাদা দেওয়া হবে এবং হাফেজের পিতামাতাকেও মর্যাদা দেওয়া হবে যদি তাঁরা মর্যাদার উপযুক্ত হন আল্লাহর বাব্বুল আলামিনের কাছে। কিন্তু কোনো হাফেজ অথবা কোনো আলেম জান্নাতে যাওয়ার সময় দুই তিনজনকে নিয়ে যাবেন, জান্নাত এত সহজও নয়। আল্লাহর বাব্বুল আলামিন এভাবে জান্নাত দিবেন না। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা যাকে জান্নাত দেবেন তিনিই জান্নাতে যেতে পারবেন। কেউ কোনো ব্যক্তিকে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবেন না বা এটা কোনো আবদারের বিষয় নয়।
আল্লাহর প্রতিটি বান্দা হিসাব-নিকাশের পরেযখন জান্নাতের জন্য উপযুক্ত হবেন তখন তাঁরা জান্নাতে যেতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে হয়তো সুপারিশ করার মতো সুযোগ কাউকে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা দিবেন, যেমন- কোরআনে কারিম সুপারিশ করতে পারবে কেয়ামতের দিন, সিয়াম বা রোজা, ঈবাদত সুপারিশ করতে পারবে। মানুষের ইবাদতগুলো তাদের জন্য সুপারিশ করতে পারবে। রাসুল্লাহ (স.) সুপারিশ করবেন কেয়ামতের দিন। তাঁকে অনুমতি দেওয়া হবে।
তাঁরপর আল্লাহর বান্দাদের মধ্য থেকে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কিছু সংখ্যক বান্দাকে অনুমতি দেবেন। তাও শর্ত রয়েছে। যাদের প্রতি আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা সন্তুষ্ট থাকবেন আল্লাহ বাব্বুল আলামিন শুধু তাঁদেরকেই সুপারিশ করার অনুমতি দেবেন এবং তাঁরা সুপারিশ করতে পারবেন।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট