220 বার প্রদর্শিত
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন Level 2

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন Level 8
বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে, গাঁজা সেবনের পরপরই টিএইচসি ফুসফুসের মধ্যে দিয়ে শোধিত হয়ে রক্তপ্রবাহের সাথে মিশে শরীরের বিভিন্ন অংশে তথা মস্তিষ্কেও প্রবাহিত হয়। মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষের কতগুলো সুনির্দিষ্ট স্থান যা ক্যানাবিনয়েড রিসেপটর নামে পরিচিত যার সাথে THC এর সংযোগের ফলে ঐ কোষগুলি প্রভাবিত হয়ে ব্যক্তির আনন্দানুভূতি, স্মৃতি, চিন্তা, মনোযোগ, সংবেদন, সময় জ্ঞান এবং চলাচলের সমন্বয়ের ক্ষেেত্র সরাসরি পরিবর্তন আনে যা ১ থেকে ৩ ঘণ্টা স্থায়ী হয়। যদি গাঁজাকে খাদ্যের সংগে বা পানিতে গুলিয়ে নেয়া হয় তবে এর প্রভাব ধীরে ধীরে - সাধারণতঃ আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পরে শুরু হয় এবং তা ৪ঘণ্টার অধিক স্থায়ী হয়ে থাকে৷। নিকোটিনের পরিমান ৩৭℅.

গাঁজা সেবনের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেবনকারী ব্যক্তির হৃত্‍কম্পন বেড়ে যায়। কোমনালীগুলি শিথিল হয়ে বেড়ে যায় এবং চোখের রক্ত প্রবাহের শিরাগুলি স্ফিত হয় যার কারণে চোখ লাল হয়। হৃত্‍স্পন্দন স্বাভাবিকের (মিনিটে ৭০-৮০বার) চেয়ে বেড়ে যায় কোন কোন সময় দ্বিগুণ হয়ে যায় এবং গাঁজা যদি অন্য কোন মাদকদ্রব্যের সাথে নেয়া হয় তবে এর প্রভাব অনেক বেড়ে যায়। গাঁজা সেবনের প্রায় পরপরই THC ফুসফুসের মধ্য দিয়ে শোধিত হয়ে রক্তপ্রবাহের সাথে মিশে কোষের মেদল অংশের মধ্যে সঞ্চিত হয়। তারপর সাধারণতঃ এক সপ্তাহ বা অনুরূপ সময়ের মধ্যে তা আবার রক্ত প্রবাহের সাথে মিশে যায়। মদ এবং ফেনসিডিল এর মতো পানিতে দ্রবণীয় কোন কোন মাদকদ্রব্য শরীর থেকে দ্রুত বেরিয়ে যায়। কিন্তু THC এর অবশিষ্টাংশ মেদ-কোষে থেকেই যায় এবং এর প্রতিক্রিয়া শেষ না হতেই আরো গাঁজা সেবন করলে ক্রমবর্ধমান প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। যত বেশি মাত্রায় গাঁজা সেবন করা হবে - যত বেশি গাঁজা মিশ্রিত মাদক ধূমপান করা হবে - ততবেশি বিভ্রান্তিকর প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে এবং ততবেশি মনশ্চালক ক্রিয়ার ঘাটতি দেখা দেবে।

অল্প মাত্রায় সেবন করলেও সেবনকারীর মাঝে মাঝে স্বল্প সময়ের জন্য স্মৃতিভ্রম ঘটে। গাঁজা সেবীদের এইরূপ স্মৃতিভ্রম প্রায়ই ঘটে, তারা একটি সৃজনশীল জটিল বাক্য শুরু করে কখনো তা ভালোভাবে শেষ করতে পারেন না, অসংলগ্ন বা এলোমেলোভাবেই তা শেষ হয়। দীর্ঘদিন গাঁজা সেবন করলে বিশেষ করে মাঝে মাঝে অতিমাত্রায় সেবন করলে সেবনকারীর মধ্যে 'মস্তিষ্ক বিকার' কিংবা মনোবিকাররগ্রস্ততা দেখা দেয়, যা উন্মত্ততার শামিল। ব্যক্তি ক্রমে কান্ডজ্ঞান হারিয়ে দৃষ্টি ও শ্রুতিগত হ্যালুসিনেশনে ভোগে। কখনো কখনো ব্যবহারকারীর মধ্যে দেহ নিরপে বিচ্ছিন্নতাবোধ অর্থাত্‍ নিজের পরিচিতি সম্পর্কে ধারণা হারিয়ে ফেলার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয় ৷

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
1 উত্তর
19 এপ্রিল 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন ফারিয়া Level 2
1 উত্তর
21 ফেব্রুয়ারি 2018 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Md tushar Level 6
1 উত্তর
0 টি উত্তর
30 অগাস্ট 2019 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Pritam kumar biswas Level 1
1 উত্তর
1 উত্তর
06 জুন 2018 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন molla Level 5
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...