ইতালির গণিতবিদ লুকা প্যাসিওলি (Luca Pacioli) ১৪৯৪ খ্রিষ্টাব্দে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি বর্ণনা করেন। এটি হিসাবরক্ষণের একমাত্র বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি লেনদেনের ২টি পক্ষ জড়িত থাকে -দাতা (creditor) ও গ্রহীতা (Debtor)। এ পদ্ধতিতে লেনদেনের সাথে জড়িত পক্ষ দুটি বিচার করে সমপরিমাণ টাকা দ্বারা ডেবিট ক্রেডিট করা হয়। মূলনীতি ও বৈশিষ্ট্যঃ ৫টি মূলনীতি ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে: ১. দ্বৈত স্বত্তা, ২. দাতা ও গ্রহীতা, ৩. ডেবিট ও ক্রেডিট করা, ৪. সমান অঙ্কেও আদান-প্রদান, ৫. সামগ্রিক ফলাফল। দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে রক্ষিত হিসাবের বই: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে ২ ধরনের হিসাবের বই রক্ষিত হয়: ১. জাবেদা (প্রাথমিক হিসাবের বই), ২. খতিয়ান ( হিসাবের পাকা বই)। হিসাবচক্রঃ ১০টি ধাপ রয়েছেঃ ১. লেনদেন শনাক্তকরণ, ২. লেনদেন বিশ্লেষণ, ৩. জাবেদা ভুক্তকরণ, ৪. খতিয়ানে স্থানান্তর, ৫. রেওয়ামিল প্রস্তুতকরণ, ৬. সমন্বয় দাখিলা, ৭. কার্যপত্র প্রস্তুত, ৮. আর্থিক বিবরণী, ৯. সমাপনী দাখিলা, ১০. হিসাব পরবর্তী রেওয়ামিল।