ক্যাপাসিটর অর্থ ধারক । একে অনেকটা রিচার্জেবল ব্যাটারির সাথে তুলনা করা যায় । পার্থক্য শুধু এটাই যে, এর চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা অনেক কম । হতে পারে সেইটা এক সেকেন্ডের হাজারভাগের অনেক কম সময় । ক্যাপাসিটরের এই চার্জ ধরে রাখার ধর্মকে ক্যাপাসিট্যান্স বলে । এর আর একটি অতিপরিচিত নাম হলো কনডেনসার । এটি মূলত দুটি ইলেকট্রোড বা কন্ডাকটরের মাঝে ডাই ইলেকট্রিক বা ইনসুলেটর দিয়ে আলাদা করে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরী করা হয় । ক্যাপাসিটরে ভোল্টেজ অ্যাপ্লাই করা হলে ডাই-ইলেক্ট্রিকের মধ্যে একটি ইলেক্ট্রিক ফিল্ড তৈরি হয়। অর্থাৎ ডাইইলেক্ট্রিক পদার্থের দু প্রান্তে ভোল্টেজ দেয়া হলে এর ভিতরে ইলেক্ট্রন আর হোল আলাদা হয়ে গিয়ে দু ভাগে ভাগ হয়ে যায় । ইলেক্ট্রন আর হোল আলাদা হয়ে যাওয়ার ফলে ক্যাপাসিটর এর দু প্রান্তে পজিটিভ আর নেগেটিভ চার্জ জমা হয়। এভাবেই ক্যাপাসিটর শক্তি সঞ্চয় করে রাখে । ক্যাপাসিটর এ চার্জ জমা থাকা অবস্থায় যদি একে বর্তনী থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয় তবে ক্যাপাসিটর ঐ চার্জ ধরে থাকবে, যতক্ষণ না সে চার্জ ছেড়ে দেবার কোন পথ পায়।