পাসপোর্ট রিনিউ করা খুব একটা কঠিন কাজ না।নতুন পাসপোর্ট করা আর পাসপোর্ট রিনিউ করার প্রসেস একই রকম। শুধুই ফরমটা আলাদা। ফরমটা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে। অথবা পাসপোর্ট অফিসের ইনফরমেশন বুথ থেকে ফ্রিতে পাওয়া যাবে। ফরমটা পূরণ করে নিতে হবে। পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার জন্য শুধু মাত্র পূরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি লাগবে। আর কিছুই লাগবে না। অনলাইনে বিভিন্ন জায়গায় লেখা থাকে সত্যায়িত করা লাগবে, আসলে তাও লাগবে না।ফরম ও অনান্য তথ্য পাওয়া যাবে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে।রিনিউ করতে গেলে পূরাতন পাসপোর্টটা সাথে নিতে হবে।
রিনিউ করা বা নতুন পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য একই পরিমান টাকা লাগবে। সাধারণ ভাবে করতে গেলে ৩৪৫০ টাকা এবং জরুরী ভিত্তিতে করতে গেলে ৬৯০০ টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে। সোনালি ব্যাঙ্ক, ট্রাস্ট ব্যাঙ্ক, ওয়ান ব্যাঙ্ক, ব্যাংক এশিয়া, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংকে টাকা জমা করা যাবে। টাকা জমা করার রশিদ আঠা দিয়ে ফরমের উপরে লাগিয়ে দিতে হবে। যদিও পাসপোর্ট অফিসের ভেতরে গেলেও তা করা যাবে। ব্যাংকে গিয়ে বললেই আপনাকে পাসপোর্টের টাকা দেওয়ার রসিদটা দিবে।
রিনিউ ফরম, পূরাতন পাসপোর্ট ও তার ফটোকপি এবং টাকা জমা দেওয়ার রসিদ নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে সকাল সকাল চলে গেলে একদিনে কাজ সেরে চলে আসা যাবে। কোন রুমে কিভাবে কি করতে হবে, ঐখানে গিয়ে দ্বায়িত্বরত কাউকে জিজ্ঞেস করলেই বলে দিবে। ঢাকার আগারগাঁও এর ক্ষেত্রে নিচ তলায় লাইনে দাঁড়াতে হয়। এরপর সেখানে কাগজ পত্র দেখে আপনাকে একটা রুমে যেতে বলবে। ঐ রুমের কাজ শেষে অন্য রুমে যেতে বলবে। এই তো। এগুলো সম্পর্কে চিন্তা না করলেও হবে। সব কাজ শেষ হলে আপনাকে একটা টোকেন দিবে, ঐখানে লেখা থাকবে কবে পাসপোর্ট ডেলিভারি দিবে।যদি কোন তথ্য আপডেট করতে চান তাহলে ঐ তথ্যের সাপেক্ষ্যে আপনাকে আলাদা কাগজ পত্র যুক্ত করে দিতে হবে। যেমন আপনি যদি আপনার বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান, তাহলে বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি যুক্ত করে দিতে হবে। আপনি যদি আপনার নাম বা অন্য কোন তথ্য আপডেট করতে চান, তাহলে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা SSC/HSC এর সার্টিফিকেট এসবের ফটোকপি যুক্ত করতে হবে।